নন্দীগ্রামের গ্রামে-বাড়িতে রাজ্যপাল
এদিন সকালে হরিপুরের অস্থায়ী হেলিপ্যাডে বিএসএফ-এর হেলিকপ্টার থেকে নামার পরে রাজ্যপালকে সেখানে স্বাগত জানান, স্থানীয় বিধায়ক কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই রাজ্যপাল যান দক্ষিণ কেন্দামারি। সেখানে বাড়ির উঠোনেও পর্যন্ত পৌঁছে যান রাজ্যপাল। বাড়ির মহিলারা রাজ্যপালের পায় জড়িয়ে ধরে ঘটনার বর্ণনা দেন। যার জেরে রাজ্যপালকেও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা যায়। কোনও জায়গায় রাজ্যপাল আবার বাইকেও সওয়ার হন।
রাজ্যপালের সঙ্গে ছিলেন না কোনও বিজেপি নেতা
কোচবিহারে দেখা গেলেও এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে কোনও বিজেপি নেতাকে দেখা যায়নি। পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি নেতা প্রলয় পাল সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, রাজ্যপাল নন্দীগ্রামে নিজের ইচ্ছায় বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন। তবে তিনি যে শুধু আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতেই গিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা।
স্বাধীন ভারতে সব থেকে বড় ভোট পরবর্তী হিংসা
এদিন কলকাতা ফের যাওয়ার আগে রাজ্যপাল বলেন, এবারের হিংসার ঘটনা স্বাধীন ভারতে সব থেকে বড় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা। লাখো মানুষ ঘরছাড়া। বোম দিয়ে তাদের ঘধর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্রে নিজের ইচ্ছায়, পছন্দের দলকে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের ওপরে আক্রমণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। হামলা থেকে বাঁচতে অনেকেই গ্রাম ছাড়া বলেও তিনি অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি
রাজ্যপাল এদিন হরিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) আশ্বস্ত করুন। রাজ্যপাল প্রশ্ন করেন, দেশের গণতন্ত্র কি এতটাই কমজোরি। ধাপে ধাপে সাংবিধানিক পদ্ধতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। শাসক দল এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শাসকদলের লোকেদের ভয় পায় পুলিশ। গণতন্ত্রে এই ব্যবস্থা চলতে পারে না, মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। প্রশাসন ও পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ্যপাল বলেছেন, এর ফল ভাল হবে না।