টেক্সাস: সুন্দরবন , জলপাইগুড়ি , মেদিনীপুর এইসব অঞ্চলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বেরোনোর খবর অনেকবারই উঠে এসেছে খবরের পাতায়। কিন্তু সুদূর আমেরিকার রাস্তায় যদি ঘুরে বেড়ায় ‘বাংলার’ বাঘ। তাহলে একটু হলেও অবাক লাগবে। কিন্তু ঘটনা তেমনই। যথেচ্ছ ঘুরে বেড়াচ্ছে সে। মাঝে মাঝেই বাড়ির উঠোনে , দাওয়ায় ঘুরতে দেখা যাচ্ছে কিন্তু তাকে পাকড়াও করা যাচ্ছে না। ক্ষণে ক্ষণে খোঁজ পেয়েও বাঘ বাবাজি নিখোঁজ তা বলা যেতেই পারে।
আমেরিকার হিউস্টনের রাস্তায় একটি বাঘকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। নাম আবার ইন্ডিয়া। হিউস্টনে বাঘ আতঙ্ক বললেও ভুল হবে না। যেখানে সেখানে যখন তখন রাস্তায় অবাধে বিচরণ করতে দেখা যাচ্চে এই বাঘকে। টেক্সাসের এমন ঘটনার জেরে স্থানীয় মানুষজন ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে ওই বাঘের মালিক ভিক্টর হুগো। তার বয়স ২৬ বছর।
তাকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। তবে ওই ব্যক্তির আইনজীবীর দাবি, বাঘের মালিক তার মক্কেল নন। সূত্রের খবর মঙ্গলবার হিউস্টনের বিভিন্ন স্থানে ওই ইন্ডিয়া নামক বাঘটিকে খুঁজতে খানা তল্লাশি চালায় পুলিশ। অনেকের অভিযোগ তার মালিক নাকি সেটিকে ধরে আবার নিয়ে চলে গিয়েছে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ভিক্টরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মালিককে গ্রেফতার করলেও বাঘের নাকাল পুলিশ পায়নি। সেটি কোথায় ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে কোনো চিহ্নও পাওয়া যাচ্ছে না। এক টুইটে পুলিশ বলেছে, তার খবরও নেই। তবে তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে।
অনেকের অভিযোগ বাঘটি ভিক্টরের ভাড়া বাড়িতে থাকতো। ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহের রবিবার। সিসিটিভিতে ওই বাঘটিকে দেখা যায়। সেটি পশ্চিম হিউজটনে একটি অঞ্চলের ছবি ছিল। সেটিকে একটি বাড়ির লন অতিক্রম করতে দেখা যায়। একদম শান্ত মনে সে হেলেদুলে হাঁটতে হাটঁতে যাচ্ছিল।
তা নজরে আসে রামোস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঘের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল। সেখানে দেখা যায়, বাঘের গলায় কলার রয়েছে। অর্থাৎ এটি কারও পোষা বাঘ। সেটিকে দেখা যায় একটি বাড়ির সামনের অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছে। এক অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তিকেও ভিডিওতে দেখা যায়। বাঘের দিকে বন্দুক তাক করে ছিল সে। সে বলছিল, ‘ভেতরে যাও। তুমি এবং তোমার বাঘসহ ভেতর যাও।’ বাঘের মালিকও উত্তর সেই। সে বলে, ‘আমি ওকে ভেতরেই নিয়ে যাচ্ছি।’
পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর হুগো নামের ওই যুবকের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে বাঁদরও পোষার অভিযোগ রয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.