সমুদ্র উত্তাল
কেরলের উপকূল জুড়ে ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল। একমিটারের ওপরে ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে। ইতিমধ্যেই উপকূলে থাকা বহু বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। বহু মানুষকে উপকূল এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বৃষ্টিজনিত কারণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে কোঝিকোড এবং এর্নাকুলাম থেকে।
বহু এলাকা প্লাবিত
জলস্তর বেড়ে যাওয়ার জেরে মালাপ্পুরম-এ বহু বাড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে। কোডুংঙ্গালুর-এ ১০০ টি পরিবার ঘরছাড়া। কোঝিকোডের বেপোর-গোথেশ্বরম বিচ রোড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে ত্রিশুরের কোদুঙ্গালুর এবং চাভাক্কাডে সমুদ্রের ঢেউ ধ্বংস লীলা চালাচ্ছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে শ্রীলঙ্কার একটি বার্জ শুদ্ধ ছটি জাহাজ কোল্লাম বন্দরে নোঙর করেছে।
খোলা হয়েছে ত্রাণশিবির
রাজ্যের কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ীয়, এখনও পর্যন্ত ১৭ টির বেশি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে প্রায় সাড়ে তিনশোজনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে কেরলে ২৩ টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেখানে প্রায় ৮০০ মানুষ এখনও পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছেন। অর্থদফতরের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার খোঁজখবর করা শুরু হয়েছে।
নিম্নচাপ তীব্র হয়েছে
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আবর সাগরের ওপর থাকা নিম্নচাপ তীব্র হয়েছে। তা আরও ঘনীভূত হয়ে আগামী কয়েকঘন্টার মধ্যে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। পাশাপাশি তা উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। মঙ্গলবার সকাল নাগাদ তা গুজরাত উপকূলের কাছে পৌঁছে যাবে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আস্তে আস্তে ঘূর্ণিঝড়ের বেগ বাড়বে। ঘন্টায় ১৫০-১৬০ কিমি বেগে আছড়ে পড়তে চলেছে সেই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই মালাপ্পুরম, কোঝিকোড, ওয়ানাড, কন্নুর এবং কাসারগাড-এ লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কোভিড সংকট আরও ঘনীভূত
চেলান্নাম-সহ আরও বিভিন্ন জায়গায় কোভিড সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। এই পঞ্চায়েত এলাকায় সম্প্রতি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের হানা। যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে ছিলেন, তাঁদের অনেককে কুম্বালাঙ্ঘির স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানকার সেন্ট মেরি হাইস্কুল এবং, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।