মাসখানেক আগে হাসপাতালে ভর্তি
মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মেজো ভাই অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গত একমাস ধরে তিনি সেখানেই ভর্তি ছিলেন। এলাকার মানুষের কাছে যিনি কালীদা নামেই পরিচিত ছিলেন।
শনিবার সকালে মৃত্যু
করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে শনিবার সকালে হার মানেন মুখ্যমন্ত্রী মেজো ভাই অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকাল ৯.২০ নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছয়। স্বভাবতই ভেঙে পড়েন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা। পরিবার সূত্রে খবর, কোভিড প্রোটোকল মেনেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর। সংবাদ মাধ্যমের কাছে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ওই বেসরকারি হাসপাতালে চেয়ারম্যান ড. অলোক রায়।
রাজ্যে সব থেকে বেশি মৃত্যু
শুক্রবার রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ২০,৮৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন নতুন করে। এঁদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি ৪১৯৭ জন। এরপরেই রয়েছে কলকাতা। ৩৯৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের আর কলকাতায় সংখ্যাটা ৩৪ জন।
রাজ্য জুড়ে লকডাউন ঘোষণা
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এদিন কার্যত লকডাউনের ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। নবান্নে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আপাতত ১৬ মে ভোর থেকে রবিবার ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে। তবে সরকারি ঘোষণায় কোথাও লকডাউনের কথা বলা হয়নি। সেখানে বলা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা আর বিধিনিষেধ বলে।