বন্ধ করা হল স্টুডিওপাড়ার দরজা
কার্যত জীবনকে বাজি রেখেই চলছিল শুটিং। টলিউডের একাধিক সিরিয়ালের অভিনেতা অভিনেত্রী করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন। বড় পর্দার একাধিক অভিনেতারা করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি ক্যামেরার পিছনে থাকা একাধিক মানুষজনও করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এই অবস্থায় সুরক্ষার খাতিরে ফের বন্ধ করা হল স্টুডিওপাড়ার দরজাও। অভিনেতা তথা আর্টিস্ট ফোরামের তরফে জানানো হয়েছে যে, আপৎকালীন ও জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। রাস্তায় যানবাহানও বন্ধ থাকছে। এমন পরিস্থিতিতে শিল্পী-কলাকুশলীরা তো শুটিং ফ্লোরে পৌঁছতেই পারবেন না। এমনিতেই রবিবার বেশিরভাগ জায়গায় শুটিং বন্ধ রাখা হয়। সেদিন আবার সকাল ছ'টা থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হয়ে যাবে। ফলে সিনেমা এবং সিরিয়ালের শুটিং এই ক'দিন আর করা যাবে না বলেই খবর।
আগাম শুটিং করে রাখা হয়েছে!
লকডাউন হতে পারে! এমন আশঙ্কা ছিলই। এই অবস্থায় গত কয়েকদিনের একাধিক পর্বের শুটিং আগাম করে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সুরক্ষার কথামাথায় রেখেই কার্যত পর্বগুলির ব্যাকিং করে রাখা হয়েছিল। এমনটাই জানা যাচ্ছে। ফলে গত বার লকডাউনে বাড়িতে বসে পুরানো পর্বগুলিকে দেখতে হয়েছিল। এবার সেটা নাও হতে পারে। অন্তত বেশ কয়েকদিন সিরিয়ালগুলির নতুন পর্বই দেখতে পারবেন বলে খবর।
টলিপাড়ার নিয়ম আরও কড়া করেছিল ফেডারেশন
করোনা পরিস্থিতির জেরে কিছুদিন আগেই টলিপাড়ার নিয়ম আরও কড়া করেছিল ফেডারেশন। ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, কলাকুশলীদের বেশিরভাগই ‘নো ওয়ার্ক নো পে' সিস্টেমে কাজ করেন। কাজ বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা বিপদে পড়বেন। সেই কারণে কলাকুশলীদের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টও শুরু হয়েছিল ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওয়। বিনামূল্যে টিকাকরণের কথাও জানিয়েছিলেন স্বরূপ বিশ্বাস। বলেছিলেন, অভিনেতা-অভিনেতারাও চাইলে এই পরিষেবার জন্য আবেদন জানাতে পারেন। তবে, সুরক্ষার খাতিরে গোটা রাজ্যে যখন আবার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তখন ফের শুটিং বন্ধের পথেই হাঁটতে হল বাংলার বিনোদন জগৎকে।
বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস
নবান্নে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আপাতত ১৬ মে ভোর ছটা থেকে ৩০ মে ভোর ছটা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করা হবে। এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরকারি এবং বেসরকারি অফিস বাদ দিয়ে সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে চালু থাকবে অনলাইন পরিষেবা। তবে সরকারি ঘোষণায় লকডাউন শব্দটিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে বারবার বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধের কথা। গণপরিবহনের ক্ষেত্রেও কড়া সরকার। লোকাল ট্রেন আগেই বাতিল করা হয়েছে। এবার মেট্রো, বাস বন্ধ রাখার নির্দেশ।