মুম্বই: করোনার করাল গ্রাসে মাঝপথে স্থগিত হয়ে গিয়েছে ২০২১ আইপিএল (IPL 2021)৷ টুর্নামেন্ট আর শুরু করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ তবে করোনা আবহে আইপিএলের চতুর্দশ সংস্করণ শুরু হলেও একাধিক ক্রিকেটার ভ্যাকসিন (vaccine) নিতে চাননি৷ যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷

আগামী মাসে ইংল্যান্ড উড়ে যাওয়ার আগে কোভিড ভ্যাকসিন নিচ্ছেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) ক্রিকেটাররা৷ এমনকী ইংল্যান্ড সফরে না-যাওয়া ক্রিকেটাররাও ভ্যাকসিন নিচ্ছেন৷ কিন্তু এক মাস আগেও বোর্ডের তরফে যখন আইপিএলে খেলা ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তাতে রাজি ছিলেন না অনেক ক্রিকেটারই৷ আইপিএল-এর মাঝপথে একাধিক ক্রিকেটারের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পিছনে কারণ হিসেবে উঠে আসছে মারণ ভাইরাসকে খেলোয়াড়দের সেইভাবে গুরুত্ব না-দেওয়া।

আইপিএলের চতুর্দশ সংস্করণ শুরুর আগে ক্রিকেটারদের জন্য করোনা টিকার ব্যবস্থা করতে চেয়েছিল বিসিসিআই। কিন্তু অনুযায়ী অধিকাংশ ক্রিকেটারই নাকি টিকা নিতে চাননি। বোর্ড সুত্রের খবর, ‘ক্রিকেটারদের টিকা দেওয়ার কথা বলা হলে তারা নিতেই চায়নি। তবে এটা ওদের দোষ ছিল না৷ কারণ ওদের সেভাবে সচেতনতা তৈরিই করা হয়নি। ক্রিকেটারদের মনে হয়েছিল জৈব সুরক্ষা বলয়ে তারা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত, আলাদা করে টিকা নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।’

ক্রিকেটারদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি(Franchises)৷ তবে বিদেশি ক্রিকেটাররা ভ্যাকসিন নিতে চাইছিলেন। কিন্তু আইনের প্যাঁচে তাঁদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রথম তিন সপ্তাহ আইপিএল ঠিকঠাক চললেও তারপর একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট-স্টাফ করোনা আক্রান্ত হন৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ৪ মে অর্থাৎ ২৪ দিনের মাথায় আইপিএল স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই৷ টুর্নামেন্টের ৬০টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২৯টি ম্যাচ হয়েছিল৷ পরে এই আইপিএল শুরু করা যাবে কি না, তা নিয়ে চরম অনিশ্চিয়তা রয়েছে৷

আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর বিদেশি ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফরা ভারত ছাড়লও চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং কোচ তথা প্রাক্তন অজি অজি ব্যাটসম্যান মাইক হাসি করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে এখনও দেশে রয়েছেন৷ তবে শুক্রবারই তাঁর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে জানানো হয়েছে৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.