করোনা সামাল দিতে ফের লকডাউন
করোনা বাড়ছে রাজ্যে। জেলায় জেলায় সংক্রমণের হার ভয়াবহ। গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে। রাজ্যের বাসিন্দাদের করোনার এই ভয়াল থাবা থেকে বাঁচাতে অবশেষে লকডাউনের পথেই হাঁটল মমতা সরকার। যদিও মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছিলেন তিনি লকডাউনে বিশ্বাসী নন। এতে গরিব মানুষের কষ্ট হয়। কিন্তু তার পরেও মানুষের প্রাণ বাঁচাতেই লকডাউনের মত কড়া সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে।
২ সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা
ইদের অপেক্ষা ছিল। ইদ মিটতেই তাই কড়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল নবান্ন। আগামিকাল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্যে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। নবান্নে সংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউন শব্দটি না বললেও কড়া বিধিনিষেধ কথাটি বলেছেন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ থাকছে আগামী ২ সপ্তাহ। করোনা মোকাবিলায় আগেই একাধিক রাজ্য লকডাউনের পথে হেঁটেছে বাকি ছিল পশ্চিমবঙ্গ।
বন্ধ পরিবহণ
লোকাল ট্রেন পরিষেবা আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবার কোপ পড়ল মেট্রো পরিেষবাতেও। আগামিকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে মেট্রো রেল পরিষেবাও। বন্ধ থাকবে বাস, ফেরি চলচলাও। অটো, ট্যাক্সি চলাচলেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্যের কোনও পরিবহণই সচল থাকবে না। সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ থাকবে সবরকম স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বাজারে বিধিনিষেধ
আগামিকাল সকাল ছটা থেকে বাজার খোলার উপরেও নতুন বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। মুদির দোকান থেকে সবজি সব বন্ধ খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। মিষ্টির দোকাল খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে ওষুধের দোকান খোলা থাকবে সারাদিনই।