রাজ্যপালের শীতলকুচি সফর
বিজেপির করা কোচবিহারের শীতলকুচিতে হিংসার অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল ধনখড় কোচবিহারের শীতলকুচিতে গিয়েছিলেন। মাথাভাঙা, দিনহাটা-সহ বেশ কিছু জায়গায় যান তিনি। এমন কী অসমের ত্রাণ শিবিরেও গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সব জায়গাতেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। পুলিশ শাসকদলের কর্মীদের ভয় পায় বলেও কটাক্ষ করেছিলেন।
নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন রাজ্যপাল
শনিবার সকালে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে গণহত্যার পরে সেখানে গিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। ১৪ বছর পর আবারও কোনও রাজ্যপাল সেখানে যাচ্ছেন। বিএসএফ-এর হেলিকপ্টারে সকাল ৯.১৫-তে রওনা দিয়ে ৯.৪০ টায় নামবেন হরিপুরের হেলিপ্যাডে। দক্ষিণ কেন্দামারি, চিলাগ্রাম, নন্দীগ্রাম বাজার, টাউন ক্লাব-সহ বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করবেন। পাশাপাশি জানকীনাথ মন্দিরে পুজোও দেবেন তিনি।
সায়নী ঘোষের কটাক্ষ
রাজ্যপালের এই সফরকেই কটাক্ষ করেছেন সায়নী ঘোষ। তিনি বলেছেন, রাজ্যপাল গান্ধী হওয়ার চেষ্টা করছেন। রাজ্যপালকে কটাক্ষে ভরা তাঁর প্রশ্ন, আপনার (রাজ্যপাল) হৃদয় তখন কি ভরাক্লান্ত হয়েছিল যখন বিজেপির নেতারা বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে আরও প্রাণের বলি হওয়া উচিত ছিল।
রাজ্যপালের সফর নিয়ে প্রশ্ন সরকারের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের দিনই রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, তিনি রাজ্যের বিভিন্ন হিংসা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। যা নিয়ে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে চিঠি লিথেছিলেন। যাতে বলা হয়েছিল, জেলা সফরে যে প্রথা রয়েছে, তা ভাঙছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল যদি কোনও জেলায় যান, তাহলে সরকারকে তা জানাতে। হয়। কিন্তু কোচবিহার সফরের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল তা করেননি বলেই দাবি সরকারের।