কড়া বিধিনিষেধ জারি
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গও শেষ পর্যন্ত লকডাউনের পথে হাঁটল। যদিও সরকারি ভাবে একে লকডাউন বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে কড়া বিধি নিষেধ। ট্রেন-বাস, মেট্রো অফিস সব বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামিকাল ১৬ মে েথকে ৩০ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই নিয়ম। দোকান বাজার খোলার সময়সীমাবেধে দেওয়া হয়েছে।
বন্ধ পরিবহণ
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের সব পরিবহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার দিনই লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেন। মেট্রো চললেও তার সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন ২ সপ্তাহের জন্য রাজ্যের সব গণপরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হবে।
ওষুধের দোকান খোলা
সব কিছু বন্ধ থাকলেও ওষুধের দোকান এবং মেডিকেল সাপ্লায়ের ক্ষেত্রে কোনও রাশ টানা হয়নি। ওষুধের দোকান খোলা বন্ধের সময়সীমায় কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। একই সঙ্গে মেডিকেল সাপ্লায় ও সামগ্রি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও কোনও বিধিনিষেধ আরোপ আরোপ করা হয়নি। এমনকী মেডিকেল পরিষেবার ক্ষেত্রেও কোনও বিধিনিধেষ আরোপ করা হয়নি।
টিকাকরণ চলবে
করোনা পরিস্থিতির কারণে কার্যত বাংলা লকডাউনের পথে হাঁটলেও টিকাকরণ বন্ধ হবে না। টিকাকরণ কিন্তু চলবে সব হাসপাতালে। মুখ্যসচিব নিজেই সেকথা ঘোষণা করেছেন। তবে লকডাউনের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। কবে নেওয়া হবে পরীক্ষা তা পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।