ঢাকা: সীমান্তের ওপারে ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশে ঢুকে কয়েকজন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে বিজিবি রক্ষীরা। প্রাথমিক পরীক্ষায় তাদের কয়েকজন করোনা আক্রান্ত। আটক প্রত্যেকেই বিনা পাসপোর্টে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। এরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। এই ঘটনার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের কোনও এলাকা থেকেই যাতে কেউ অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেদিকে নজর রাখছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ধরা পড়ে দশ জন। বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাদের। সেখানে তাদের বিশেষ নিরাপত্তায় আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে ভারত থেকে বিনা পাসপোর্টে দেশে আসা তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস চিহ্নিত হয়েছে।

শনিবার ফের তাদের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। আইইডিসিআর ল্যাবেও তাদের নমুনা পাঠানো হবে। দুটি পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পরেই জানা যাবে করোনা আক্রান্ত ওই তিনজনের দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে কিনা।

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। কাছাকাছি কাউকে ভিড়তে দেওয়া হচ্ছে না। ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছেন, করোনার ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট তীব্র সংক্রামক। করোনার এই ধরনটি ইতিমধ্যে ভারত থেকে আসা কয়েকজন বাংলাদেশির দেহে শনাক্ত হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এর জেরে ভারতে চলছে মৃত্যু মিছিল। প্রতিবেশি দেশের অক্সিজেন সংকট আরও বিপদ বাড়িয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গেও করোনা পরিস্থিতি করুন।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলা থেকে বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার মহেশপুরে অনুপ্রবেশ করেছিল আটক বাংলাদেশিরা। দালাল মারফত সীমান্ত পারাপার করে তারা। স্থানীয় পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

বিজিবি আরও জানিয়েছে, অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা বাগেরহাট, নরসিংদী, খুলনা, নাটোর, যশোর সহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। জীবিকার সন্ধানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গিয়েছিল তারা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.