ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া হলো। ঈদ মিটতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকছে। অন্যদিকে ঈদ মিটতেই সীমান্তের ওপারে পশ্চিমবঙ্গে জারি হল লকডাউন নির্দেশ। চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত এটি থাকবে।

বাংলাদেশে ঈদ পরবর্তী করোনা সংক্রমণ বাড়বে এমন আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতির বিবেচনায় ও ভারতের অবস্থা দেখে বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে এই বিধিনিষেধ বাড়ানো হচ্ছে। আগেই তিনি লকডাউন সময়সীমা বাড়বে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম দফায় গত ৫ এপ্রিল এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়। সেটি চলেছিল ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। পরে সেই বিধিনিষেধ কয়েক দফায় ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেটি রবিবার শেষ হচ্ছে। এর পর নতুন করে আরও সাত দিন বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আরও বলেন দেশে করোনাভাইরাসের ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে। এই কারণেই সংক্রমণ এড়াতে লকডাউন সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণে সরকারের সর্বাত্মক চেষ্টায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রিত। তবে ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলে ফিরতে মানুষের ভিড়ে করোনা সংক্রমণ চিন্তার কারণ হবে। এমনই আশঙ্কা করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জনসমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

ঈদ মিটতেই কর্মস্থলমুখী ভিড় সংক্রমণ আশঙ্কা তীব্র করছে। বিভিন্ন নদী ঘাট ও জেটিতে ভিড় বাড়ছে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেছেন, শনিবার সকাল থেকে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। সব ফেরিতে বিপুল যাত্রী পারাপার করছে। তিনি আরও বলেন, শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার ঘাটের যাত্রীদের ভিড় আরও বাড়বে। নদীর উভয় পাড়ে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ প্রবল।

অন্যদিকে মারণ ভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিবেশী ভারত।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.