ব্যাংক খোলা থাকবে দুটো পর্যন্ত
ক্রমশ বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংক কর্মী থেকে বিমা কর্মীরা। কাজের সময়সীমা কমলেও ভয়ঙ্কর সংক্রমণের মধ্যেই একবারে সামনের সারিতে থেকে কাজ চালাচ্ছেন ব্যাংক কর্মীর। সমীক্ষা বলছে, সবথেকে বেশি ব্যাংক কর্মীরাই করোনাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে তাঁদের। রিস্ক নিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা এই অবস্থায় রাজ্যে ব্যাংক খোলা এবং বন্ধ হওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা থাকবে ব্যাংক। এর মধ্যেই সমস্ত আর্থিক লেনদেন হবে। তবে প্রত্যেক সপ্তাহে শনিবার এবং রবিবার ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
খোলা থাকবে এটিএম পরিষেবা
ব্যাংকে আর্থিক লেনদেন ২টো পর্যন্ত চললেও এটিএম পরিষেবা খোলা থাকবে সারাদিনই। তবে এটিএমের মধ্যে ভিড় করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে এটিএম পরিষেবা খোলা থাকলেও টাকা ভরা নিয়ে একটা আশঙ্কা থাকবে। বিশেষত অন্য সংস্থা এটিএমগুলিতে টাকা ভরার দায়িত্বে থাকে। অনেক কর্মীই আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাতে। সেক্ষেত্রে এটিএমগুলিতে টাকা ভরা নিয়ে একটা আশঙ্কা থাকবে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
ব্যাংক কর্মী থেকে বিমা কর্মীদের ভ্যাকসিন
ব্যাংক কর্মী থেকে বিমা কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত অর্থমন্ত্রকের। মন্ত্রক বলছে, কার্যত এই সমস্ত কর্মীরা কার্যত জীবনকে বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে। আর তাই এই সমস্ত কর্মীদের দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলছে অর্থমন্ত্রক। আর এই মর্মে সমস্ত রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাতে দ্রুত এই সমস্ত কর্মীদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা যায়। এই সমস্ত কর্মী ছাড়াও বিজনেস করেসপনডেড, নগদ লেনদেন সহ এই সমস্ত কাজে যারা জড়িত রয়েছে তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছে অর্থমন্ত্রক। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে হে, ব্যাঙ্ক, বীমা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জরুরিভিত্তিতে টিকা দিতে হবে। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক-বীমা পরিষেবা প্রদানকারীরা যেভাবে কাজ করে চলেছেন তাকে কুর্নিশ জানান অর্থমন্ত্রকের আধিকারিকর।
জেলাশাসকদের নজরদারির নির্দেশ
শুধু টিকাকরণের নির্দেশ নয়, সেই প্রক্রিয়ার নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক এবং বীমা সংস্থার কর্মীরা যাতে সময়মত টিকা পান সেই বিষয়ে নজরদারি চালাতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সেই বিষয়ে একটা গাইডলাইন তৈরি কথা বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সংগঠনগুলি
দেরিতে হলেও ব্যাংক কর্মীদের ভাবার জন্যে অর্থমন্ত্রককে ধন্যবাদ জানিয়েছে All India Bank Employees Association। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, কর্মীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভ্যাকসিন গুরুত্বপূর্ণ। কার্যত জীবন হাতে রেখে কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। এই অবস্থায় অর্থমন্ত্রক যে ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে আমরা খুশি। শুধু তাই নয়, অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মন্ত্রকের তরফে কর্মীদের জন্যে গাইড লাইন তৈরির দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংকের সময়সীমা কমানোর সিদ্ধান্তে খুশি ব্যাংক ইউনিয়নগুলি।