অভিযুক্ত, পলাতক সুশীল
জুনিয়র কুস্তিতে প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সাগর রানা হত্যা মামলার প্রেক্ষিতেই রোহিনী আদালতের এই নির্দেশ। দিল্লির ছত্রসল স্টেডিয়ামে গত ৪ মে সাগর ও তাঁর দুই বন্ধুর উপর সুশীল ও কয়েকজন কুস্তিগীর চড়াও হন বলে অভিযোগ। ৫ মে সাগরের মৃত্যু হয়। তাঁর দুই বন্ধু ঘটনায় আহত হন। তাঁরা জানিয়েছেন, সুশীল ও তাঁর সহযোগীরা মিলে সাগরকে তাঁর মডেল টাউনের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর সকলের সামনে অকথ্য ভাষায় অপমান করে সাগরকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তারপর থেকেই পলাতক সুশীল।
গ্রেফতারি পরোয়ানা
ঘটনার পর থেকেই সুশীল কুমার গা ঢাকা দেওয়ায় সন্দেহ জোরালো হয়। সাগর রানা ওই ছত্রসল স্টেডিয়ামেই অনুশীলন করতেন। স্টেডিয়াম চত্ত্বরেই তাঁদের উপর সুশীলরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। সাগর হত্যা মামলায় সুশীলের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সুশীলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে খালি হাতে ফেরে। গত সোমবার পুলিশ সুশীলের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করে। এরই মধ্যে খবর আসে গ্রেফতারি এড়াতে সুশীল প্রথমে হরিদ্বার ও পরে হৃষীকেশ যান। দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জায়গায় সুশীলের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। আজ জারি হলো জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা।
ভাবমূর্তিতে ধাক্কা
এবারের টোকিও অলিম্পিক্সেই সবচেয়ে বেশি, আটজন ভারতীয় কু্স্তিগীর অংশ নিচ্ছেন। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের শিবির বাতিল করে পরে ইউরোপে আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। সুশীলের ঘটনার পর থেকে ছত্রসল স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে চাইছেন না অনেক কুস্তিগীর। সুশীলের ঘটনায় ভারতীয় কুস্তির ভাবমূর্তিতে আঘাত লেগেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সহ সচিব বিনোদ তোমর।
চুক্তিবদ্ধ এখনও
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সুশীলকে এ গ্রেড কনট্রাক্ট লিস্টে রাখা হয়। ফলে প্রতি বছর তিনি ৩০ লক্ষ টাকা পান। যদিও ২০১৯ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম রাউন্ডে হারার পর থেকে আর কোনও আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশ নেননি সুশীল। তবু এখনও তাঁকে চুক্তি থেকে বের করার পথে হাঁটছে না রেসলিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া।