দলে থেকে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ!
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার দাসপুর-১ ব্লকে এই ঘটনাটি ঘটেছ। ওই ব্লকের দাসপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মলন জানাকে ঘিরে বিতর্ক। তাঁর বিরুদ্ধই পঞ্চায়েতের অন্যান্যরা অনাস্থা আনতে শুরু করে। কিন্তু তা শুরু হতেই কার্যত নাটকীয়ভাবে বিডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। হঠাত কেন পদত্যাগ তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য কার্তিক রায় জানান, বিধানসভা ভোট ঘোষণার আগে থেকেই গোপনে বিজেপি-র হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন মিলন। তাই ভোটের ফল ঘোষণার পরই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্য সদস্যেরা মিলনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার প্রস্তুতি শুরু করেন। কিন্তু তার আগেই মিলন দাসপুর-১ বিডিও বিকাশ নস্করের কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতির দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বহুদিন ধরেই দলবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিলেন। কিন্তু কোনও প্রমাণ ছিল না বলেই অভিযোগ। আর তা আসতেই অনাস্থা প্রস্তাব আনার তোড়জোড় শুরু হতেই ইস্তফা মিলনের।
বনশ্রী খাঁড়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব
বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন শিউলি। শুভেন্দুকে ঠেকাতে শিউলির উপরেই অনেক টা ভরসা রাখছেন মমতা। কারণ ভুমিকন্যাকে সামনের রেখেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে লড়তে চান মমতা। আর এরই মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার মায়ের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ। নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বনশ্রী খাঁড়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবআ আনল অন্যান্য সদস্যরা। শুধু তাই নয়, নন্দীগ্রামের ভোটে বিরোধী দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অনাস্থা এনে বিডিওকে চিঠি দেন পঞ্চায়েতের ১১ জন সদস্য।
মমতার হার নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ
নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে হেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হার নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে দলের অন্দরে। আর এরমধ্যেই নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগ তুলল তৃণমূল। শুধু তাই নয়, কয়েকদিন আগে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপা মান্নার বিরুদ্ধেও বিজেপি-র সঙ্গে গোপন আঁতাতের অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাঁকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন ওই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দিলীপ মাঝি। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারীর সাংসদ প্রতিনিধি রামপদ মান্নার স্ত্রী রূপা। ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দু'বারের বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে হারানোর জন্য তলেতলে বিজেপি-র হয়ে কাজ করেছেন ওই দম্পতি। আর এর অভিযোগের মধ্যেই সামনে আসছে আরও এক নেতার নাম।
গদ্দার লুকিয়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মমতা
একুশের নির্বাচনের আগে বহু দলবদলের রাজনীতি দেখেছে রাজ্য। ঝাঁকে ঝাঁকে তৃণমূলের নেতা, কর্মী-সমর্থকরা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। অনেকেই আবার বিজেপি থেকে পেয়েছেন নির্বাচনে লড়াই করার টিকিট। আবার তৃণমূল এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনও বলেছিলেন যে, দলের অন্দরেই অনেক গদ্দার লুকিয়ে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেছিলেন যে, তৃণমূল ২০০ আসন না পেলে সেই গদ্দাররা বিজেপিতে যোগ দেবে। তবে তেমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় নি তৃণমূলকে। একাই বিপুল সংখ্যাদরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বিতর্কের মধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রীর মায়ের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অন্দরে।