আইপিএল স্থগিত হতেই করোনা-যুদ্ধে নেমে পড়েছিলেন বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মা। করোনাকালে মানুষের পাশে থাকতে প্রশংসনীয় কাজ করছে এমন সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এগিয়ে আসেন তাঁরা। ৭ মে তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ত্রাণ তহবিলে সাধ্যমতো সহযোগিতার আর্জি রেখেছিলেন। বিরাট-অনুষ্কা যে ত্রাণ তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন আজ ছিল তার শেষ দিন। প্রত্যাশা ছাপিয়ে যে বিপুল সাড়া তাঁরা পেয়েছেন সেজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানালেন এই তারকা দম্পতি।
এদিন সকালেই বিরাট কোহলি টুইটারে জানান, শুধু একবার নয়, দুইবার আমরা আমাদের টার্গেট ছাপিয়ে গিয়েছি। এতে আমরা কতটা অভিভূত তা প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। যাঁরা আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন, আমাদের বার্তা শেয়ার করেছেন বা যে যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাতে সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিরাট আরও জানান, করোনা ত্রাণের জন্য ১১ কোটি ৩৯ লক্ষ ১১ হাজার ৮২০ টাকা সংগৃহীত হয়েছে। #InThisTogether হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে প্রত্যয়ী বিরাট বলেন, করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়েও আমরা সকলে একসঙ্গে থেকে জয়ী হব।
Anushka and I appreciate each one of you who came forward to support the nation. We are truly grateful. Jai Hind 🇮🇳#InThisTogether #ActNow #OxygenForEveryone #TogetherWeCan #SocialForGood@ketto @actgrants pic.twitter.com/HzAORFW7Sl
— Virat Kohli (@imVkohli) May 14, 2021
আজ বিকেলে বিরাট ও অনুষ্কা একসঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করে সকলকে ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে সকলকে সুরক্ষিত থাকার বার্তা দেন। মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পাশাপাশি ভ্যাকসিন নেওয়ার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তাঁরা। অক্সিজেন সরবরাহ, ভ্যাকসিন সম্পর্কে সচেতন করা, টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে অ্যাক্টগ্র্যান্টস। অতিমারি পরিস্থিতিতে প্রশংসনীয় কাজ করা এই সংস্থার হাতেই সংগৃহীত অর্থ তুলে দেওয়া হবে বলে জানান বিরাট ও অনুষ্কা। বিরাট ও অনুষ্কা ২ কোটি টাকা দিয়েছেন।
Words fall short to express how overwhelmed we feel to have exceeded our target not once, but twice, thanks to each one of you. To everyone who has donated, shared, & helped in any way, I want to say a big thank you. We are #InThisTogether & we will overcome this together. pic.twitter.com/M7NeqDc532
— Virat Kohli (@imVkohli) May 14, 2021
তাঁরা এই উদ্যোগ নেওয়ার প্রথম ঘণ্টাতেই ওঠে ৩.৬ কোটি টাকা। যে এমপিএল ফাউন্ডেশনের হয়ে বিরাট বিজ্ঞাপন করেন সেই সংস্থার তরফে ৫ কোটি টাকা পেয়ে ত্রাণ তহবিলের টার্গেট বাড়িয়ে ১১ কোটি করেন বিরাট। সেই অঙ্কও ছাপিয়ে গিয়েছে শেষ দিনে।