আজকাল তরুণীদের নতুন ফ্যাশন হয়েছে চুল স্ট্রেট করানোর (hair straightening)। কারুর একরাশ ঘন কোঁকড়ানো চুল হয়তো মুহূর্তেই হয়ে যাচ্ছে স্ট্রেট।
অনেক কম বয়সী মেয়েরাও এই জোয়ারে গা ভাসাচ্ছে। অবশ্য তা দেখতেও বেশ ভালো লাগে। কিন্তু তারপর?
পরবর্তীকালে সেই চুলের কী হাল হতে পারে সেটা ভেবে দেখেছেন? চুলকে নতুন নতুন লুক দিতে কার না ভালো লাগে?
কিন্তু সেই লোভে পড়ে নিজের একরাশ ঘন কালো চুলের কোনো ক্ষতি নিজের হাতেই করছেন না তো? জানেন কি নিজের চুলের যে ধরণ তা পাল্টে চুল স্ট্রেট (hair straightening) করাতে গিয়ে কতটা ক্ষতি হচ্ছে আপনার চুলের?
গোটা ব্যাপারটা শুরুটা সুন্দর লাগলেও শেষের দিকটা পড়েই চমকে গেলেন তো? আসলে এটা হচ্ছে অনেকটা ওই একটি মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠের মতো ব্যাপার।
নিজের শখকে সত্যি করতে গিয়ে নিজের ভবিষ্যতের ক্ষতি করার আগে জেনে নিন এরকম করলে চুলের কী কী ক্ষতি হতে পারে। হয়তো এটাই আপনার চোখে আঙ্গুল দিয়ে আপনার ভুলটা ভাঙিয়ে দিতে পারবে।
একবার চোখ বুলিয়ে নিন নিচের লেখাতে।
১. আপনার চুল তার নিজের জেল্লা (hair glow) হারিয়ে শুষ্ক হয়ে পড়বে। এর পাশাপাশি আবার সেই চুলে ফ্রিজিনেস চলে আসে এক প্রকার।
ফলে চুল লম্বা হলেও আর উজ্জ্বল দেখায় না।
২. চুল স্ট্রেট করালে অনেকেরই স্কিন অ্যালার্জি (skin allergy) হতে পারে। তার থেকে আবার মাথার স্ক্যাল্পে চুলকানি, ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
আর এর পরবর্তী ধাপে আবার নাকি চুল পড়ে যাওয়ার (hairfall) মতো কঠিন সমস্যা শুরু হয়।
৩. চুল স্ট্রেট করানোর সময় সেই চুলে নানা কেমিক্যাল প্রয়োগ করা হয়। তাই এর পর থেকে নিয়মিত যত্ন নিলেও সেখানে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহারে করার ফল হিসেবে চুল সহজেই ভেঙে (hair damage) যাওয়ার সমস্যা হতে পারে।
৪. চুল স্ট্রেট করানোর পর সেই চুলের বিশেষ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য যেসব ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তার থেকে ফরম্যালডিহাইড গ্যাস নির্গত হয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।
এর থেকে নাকি শুধু চুল না, ত্বকের ক্ষতিও হতে পারে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.