ভারতে এসেছে ১,৫০,০০০ স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন
সূত্রের খবর, প্রথম ব্যাচে ১,৫০,০০০ স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন ভারতে রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী, রাশিয়া ভ্যাকসিনের ১০০টি নমুনা ব্যাচ টেস্টিংয়ের জন্য কেন্দ্রীয় ড্রাগ ল্যাবোরেটরিতে (সিডিএল) পাঠানো হয়েছে, যা হিমাচল প্রদেশের কসৌঁলিতে অবস্থিত। কিন্তু ১৪ দিন কেটে যাওযার পরও এখনও ভ্যাকসিনের স্ক্রিনিং সম্পূর্ণ হয়নি।
ব্যাচ–টেস্টিং কেন করা হচ্ছে?
সরকারের এক সূত্রের খবর, ভ্যাকসিনের জন্য এই প্রোটোকল খুব দরকারি। এই নিয়ম চালু করছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই), যার আওতায় সিডিএল এটি পরিচালনা করে। ভ্যাকসিন নীতি তথ্যে বলা হয়েছে, ‘আবেদনকারীকে (ভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারক) কোভিড-১৯-এর জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচিতে ব্যবহারের আগে ভ্যাকসিনের প্রতিটি ব্যাচকে সিডিএল দিয়ে টেস্ট/ছাড়পত্র পাওয়াতে হবে।' ভ্যাকসিনগুলির ব্যাচ-পরীক্ষার মধ্যে জীবাণুনাশকতা, বিষাক্ততা, কার্যকারিতা বা অন্য কারণগুলি পরীক্ষা করা হয়।
স্পুটনিক ভি–কে হু কি অনুমোদন দেয়নি?
ব্যাচ-টেস্টের পদ্ধতিতে কমপক্ষে ১০ দিন সময় লাগে ফলাফল জানতে। সরকারি সূত্রের খবর, ভ্যাকসিনগুলির ছাড়পত্র দ্রুত করার জন্য, ভ্যাকসিন পরীক্ষা করার ন্যূনতম সময়টি ২৮ দিন থেকে কমিয়ে ১০ দিন করা হয়েছে। যদিও স্পুটনিক ভি-কে ব্যবহারের জন্য মার্কিন এফডিএ বা হু অথবা ইউরোপিয়ান ওয়ুধ নিয়ামকের কাছ থেকে অনুমোদন মেলেনি। তবে বন্টনের আগে ভারত প্রাথমিক নিয়ম হিসাবে ব্যাচ-টেস্ট করিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু ভারতে এই ভ্যাকসিন সরবরাহের আগেই এই পরীক্ষাতেই বহু সময় নিয়ে নিয়েছে। এক বিবৃতিতে দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন যে দিল্লি সরকার এখনও জানে না যে দিল্লিতে আদৌও স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের ব্যবহার হবে কিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনও পর্যন্ত না এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়েছে আর না স্পুটনিক ভি-এর ডোজ সরবরাহ হয়েছে।' এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজের মূল্য কত হবে, তা নিয়ে কোনও আলোচনা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
আগামী সপ্তাহেই স্পুটনিক ভি?
আগামী সপ্তাহেই এই ভ্যাকসিন মিলবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘যে সব টিকা ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে এসেছে, সেই টিকা সামনের সপ্তাহ থেকে পাওয়া যাবে দেশের বাজারে। আরও টিকা আসছে রাশিয়া থেকে।' ভিকে পাল এও জানিয়েছেন যে ভারতে অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর এই পাঁচমাসের মধ্যে ২১৬ কোটি ডোজ প্রস্তুত হবে। যার মধ্যে ৭৫ কোটি কোভিশিল্ড ও ৫৫ কোটি কোভ্যাকসিনের ডোজ এবং এর সঙ্গে ১৫.৬ কোটি স্পুটনিক ভি-এর ডোজও উৎপাদন হবে।