ঢাকা: ঈদের আগে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধ ছিল, করোনা সংক্রমণ এড়াতে দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানুন। সে অনুরোধ শিকেয় উঠল প্যালেস্টাইনের প্রতি সহমর্মিতা দেখানোর বিক্ষোভ সমাবেশে। ফিলিস্তিনিদের উপর ইজরায়েলের সেনা হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে হলো বিরাট গণবিক্ষোভ।

হাজার খানেক বিক্ষোভকারী সমাবেশে যোগ দেন। তারা প্যালেস্টাইনের গাজা শহরে ইজরায়েলি সেনা হামলার প্রতি ক্ষোভ দেখান। ঈদের দিন এই সমাবেশের ডাক দেয় ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠন ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’। বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ সহ বাকি বক্তারা বিখ্যাত আল আকসা মসজিদ চত্বরে ঢুকে ইজরায়েলি পুলিশের হামলা ও গাজা শহরে ফিলিস্তিনিদের নিহতের ঘটনার নিন্দা জানান।

করোনা সংক্রমণ রুখতে ঈদের সময় বাংলাদেশের সর্বত্র বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রক। সেই নির্দেশ মেনে গতবারের মতো এবারেও বন্ধ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহে ধর্মীয় জমায়েত। বাংলাদেশের বৃহত্তম তথা এশিয়ার অন্যতম বড় ঈদের নামাজ কেন্দ্র শোলাকিয়া। গত বছরেও করোনা সংক্রমণের কারণে এই জমায়েত হয়নি। সরকারি নির্দেশে ন্যুনতম উপস্থিতি ও দূরত্ববিধি মেনে এবারও বাংলাদেশের সর্বত্র ঈদের প্রার্থনা হয়েছে।

ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদে সরকারি নিয়ম মেনেই প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এর পরেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানোর জমায়েতের ভিড় প্রশ্ন তুলে দিল। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয়। হাজার খানেক বিক্ষোভকারী এতে সামিল হন।

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ধর্মীয় সংগঠনটির যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ফিলিস্তিনিদের উপর হামলাকারী ওই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। এর জন্য ঈদের দিন বেছে নেওয়া হয়েছে।

গণবিক্ষোভ ঘিরে বিতর্ক চলছে। কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধ মেনে জমায়েত বাতিল করা হলনা, উঠছে প্রশ্ন। তবে বাংলাদেশ সরকার ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে আগেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিঠি লিখেছেন প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.