করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্তে অক্সিজেনের চাহিদা তুঙ্গে। অনেক রাজ্যেই এখন অক্সিজেনের আকাল। অ্যাস্থমা, সাইনাস, ব্রঙ্কাইটিস থেকে শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থায় অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, বাড়িতে গাছ রাখলে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কি বাড়তে পারে? জেনে নিন কোন গাছ রাখলে, তার উপরও নির্ভর করে কতটা অক্সিজেন পাওয়া যাবে।

তুলসী

এর গুণাগুণ সম্পর্কে বাড়তি বলার কিছু নেই। ঘরের ভিতর তুলসী গাছ রাখলে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ করবে। শুধু তাই নয়, কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও সালফার-ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাসগুলিকে শোষণ করে ঘরের বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে তুলসী।

অ্যালোভেরা

যেসব গাছগুলি থেকে মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়, অ্যালোভেরা তার মধ্যে শীর্ষে। বাতাস সুস্থ রাখতে আমেরিকার নাসার অন্দরে পর্যন্ত রাখা রয়েছে এই গাছ। এর কোনও পরিচর্যার দরকার হয় না। এই গাছ থেকেও রাতেও অক্সিজেন পাওয়া যায়৷

স্নেক প্ল্যান্ট

অ্যালোভেরার মতোই গুণাগুণ রয়েছে এই গাছেরও। এটিও রাতে অক্সিজেন ছাড়ে আর কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। তাই ঘরের মধ্যে এই গাছ লাগলে উপকার পাওয়া যাবে রাতেও।  এই গাছ দেখতেও বেশ সুন্দর। ঘরের শোভা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই।

অর্কিড

এর সৌন্দর্যের তুলনা নেই। বেডরুমে বিছানার পাশে অর্কিড রাখলে ঘরের সৌন্দর্যই পালটে যায়। সাধারণত গাছ যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে অক্সিজেন তৈরি করে, তাতে সূর্যালোক প্রয়োজন হয়৷তাই রাতে তা সেই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে৷ অর্কিডও রাতে অক্সিজেনই ত্যাগ করে। ফলে ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে অর্কিড। রাতেও আপনার ঘর থাকে অক্সিজেনে পরিপূর্ণ।

বাঁশ

বাতাসের দূষিত কণা টোলুইন, ক্ষতিকারক টক্সিন বেঞ্জিন ও ফর্ম্যালডিহাইডকে শোষণ করে ঘরে অক্সিজেন লেভেল প্রচুরভাবে বাড়ায় বাঁশ গাছ। NASA এর গবেষকদের মতে এই গাছ মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘরের বাতাসের প্রায় ৬০ শতাংশ টক্সিন এবং ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ শুষে নিতে পারে।

স্পাইডার প্ল্যান্ট

এই গাছটির বিশেষত্ব হল খুব কম আলোতেও এরা সালোকসংশ্লেষ করতে পারে। ফলে অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখে। একটা গাছ প্রায় ২০০ বর্গ মিটার এলাকার বাতাস পরিশুদ্ধ করে তুলতে পারে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.