টোকিও: হাতে রয়েছে দু’মাসের সামান্য বেশি কিছু সময়। এমতাবস্থায় ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনা টোকিও অলিম্পিকের (Tokyo Olympics) আকাশে অনিশ্চয়তার মেঘ পুঞ্জীভূত করছে। আয়োজক দেশের দুই টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা (Naomi Osaka) এবং কেই নিশিকোরিও (Kei Nishikori) কোভিড (COVID-19) আবহে দেশের মাটিতে অলিম্পিক আয়োজন ঘিরে সম্প্রতি তাঁদের উদ্বেগ গোপন করেননি। এবার যা হল সেটা রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ফেলে দেবে আয়োজক এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে।

অলিম্পিক বাতিলের দাবিতে টোকিও গভর্নরের কাজে দাখিল করা হল পিটিশন। সাড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি স্বাক্ষর সম্বলিত সেই পিটিশন শুক্রবারই জমা পড়েছে টোকিও গভর্নর যুরিকো কৈকে’র (Yuriko Koike) কাছে। যে পিটিশনে সাধারণ মানুষের জীবনকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বারবার করে। ‘আমাদের জীবন বাঁচাতে টোকিও অলিম্পিক বাতিল করা হোক’ এই নামে পিটিশনটি অনলাইনে দাখিল করা হয়েছে।

টোকিওর এক আইনজীবী কেনজি উতসুনোমিয়া (Kenji Utsunomiya) চলতি মাসের শুরুতে অনলাইনে দাখিল করা পিটিশনে সই সংগ্রহ করা শুরু করেন। যিনি অতীতে টোকিওর গভর্নর পদপ্রার্থীও বটে। শুরু থেকেই অলিম্পিক বিরোধী এই পিটিশনে ব্যাপক সাড়া মিলতে থাকে। পিটিশন সমর্থনকারীদের দাবি, অতিমারী পরিস্থিতিতে অলিম্পিক হয় পুনরায় পিছিয়ে দেওয়া হোক কিংবা বাতিল করে দেওয়া হোক। ওই আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমাদেরকেই বেছে নিতে হবে এই কঠিন সময়ে আমরা মানুষের জীবনকে প্রাধান্য দেব নাকি অলিম্পিক ইভেন্টকে।’ একইসঙ্গে গভর্নর যুরিকো কৈকের উদ্দেশ্যে বলেছেন তিনি যেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (IOC) কাছে গেমস বাতিলের অনুরোধ করেন।

টোকিও গভর্নরের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি, আয়োজক কমিটি এবং জাপান সরকারের কাছেও দাখিল করা হয়েছে পিটিশন। গেমস আয়োজন মানে তাকে কেন্দ্র করে মূল্যবান চিকিৎসা পরিষেবা গড়ে তুলবেন আয়োজকরা। কিন্তু কঠিন সময়ে এই চিকিৎসা পরিষেবা দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান বলে দাবি করেছেন পিটিশন দাখিলকারী সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। উল্লেখ্য, কোভিডের চতুর্থ ওয়েভের জেরে এই মুহূর্তে টোকিও সহ জাপানের পাঁচটি প্রদেশে জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা, চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.