নিম্নচাপ রূপ নিতে চলেছে সাইক্লোনের
শুক্রবার থেকেই লাক্ষাদ্বীপের কাছে আরব সাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। যা ঘূর্ণিঝড় ফুঁসে ওঠার অন্যতম উপাদান বলে মনে করা হয়। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী ১২ ঘণ্টায় এই নিম্নচাপ আর ঘনীবূত হবে। আর এই ১২ ঘণ্টা পার হতেই এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে শুরু করবে।
শনিবার বিকেল থেকে শক্তিবৃদ্ধি
প্রসঙ্গত, আইএমডি জানাচ্ছে, শনিবার বিকেল থেকে শক্তি বাড়িয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাবে তাউকতে। রবিবার বিকেল থেকে কার্যত তাণ্ডব লীলা শুরু করবে এই ঝড়।
সাইক্লোন ট্র্যাকার কী বলছে?
প্রসঙ্গত, সাইক্লোনর অভিমুখ বিচার করে বলা যায় যে শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এই নিম্নচাপ কেরলের কন্নৌর থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল। এরপর এদিন উত্তর পশ্চিম বরাবার সাগর থেকে ধেয়ে আসছে। যার জেরে কেরল, কর্ণাটক, তামলনাড়ুতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু করেছে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে এই এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত চলবে বলে জানান হয়েছে মৌসম ভবনের তরফে।
উত্তাল ঢেউ, ঝড়ের গতি
মহারাষ্ট্র উপকূলে ইতিমধ্যেই এই সাইক্লোনের উত্তাল ঢেউয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মৌসম ভবন জানাচ্ছে, তাউকটে ঘূর্ণিঝ় আছড়ে পড়বে তীব্র গতিতে। প্রাথমিকভাবে ঝড়ের সার্ফেস স্পিড ১৫০-১৬০ প্রতি কিলোমিটার বেগে থাকবে। পরবর্তীকালে তা ১৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে আছড়ে পড়তে পারে।
গুটি গুটি এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তাউকাটে, কেরল উপকূলে জারি কমলা সতর্কতা
বন্যার আশঙ্কা
এদিকে এই ঝড়ের তাণ্ডবে, দক্ষিণ ভারতের তিন রাজ্যে বন্যার সতর্কতা জারি হয়েছে। লাক্ষাদ্বীপে শুক্রবার প্রবল বর্ষণ হবে। এছাড়াও কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুতে বর্ষণ চলবে। তিন দিনের মোট বৃষ্টিপাতের ফলে ৩০০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হবে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে। ফলে তিন রাজ্যেই রয়ে যাচ্ছে বন্যার আশঙ্কা। এর জন্য কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুতে বন্যা র সতর্কতা জারি হয়েছে।