জয়পুর: ভারতে প্রতিটা দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ভাইরাসের তাণ্ডবে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা একপ্রকার ভেঙে পড়েছে। একাধিক রাজ্যে অক্সিজেন, হাসপাতালে বেড না মেলায় বহু সংকটজনক রোগী মারাও যাচ্ছে। আর কোভিডের এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে পাঠানো ভেন্টিলেটরগুলিতে (ventilators) ত্রুটি রয়েছে বলে এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে।
সম্প্রতি রাজস্থান সরকার কেন্দ্রের দেওয়া ভেন্টিলেটরগুলিতে (ventilators) ত্রুটি রয়েছে বলে আভিযোগ করেছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Chief Minister Ashok Gehlot) এই বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে দাবিও জানিয়েছেন।
রাজস্থানের (Rajasthan) মুখ্যমন্ত্রী (CM) একটি বিবৃতিতে বলেছেন, কেন্দ্র সরকারের পিএম কেয়ারস তহবিল থেকে কোভিড মোকাবিলার জন্য ১,৯০০ ভেন্টিলেটর রাজ্য সরকারকে সরবরাহ করেছে। এই ভেন্টিলেটরগুলি মূলত ব্যবহার করা হয়ে থাকে স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণ হিসেবে। তবে রাজ্যের বেশ কিছু চিকিৎসক জানিয়েছেন কেন্দ্রের দেওয়া ভেন্টিলেটরগুলিতে বেশকিছু প্রযুক্তিগত ঘাটতি রয়েছে, যার কারণে এগুলি ব্যবহার রোগীরদের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতিতে আরও যোগ করে বলেন, ভেন্টিলেটরগুলিতে (ventilators) প্রেসার ড্রপের মতো সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। একভাবে ব্যবহারের মাত্র ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি হঠাৎ করে পিআইও ২ (PIO2) হ্রাস, অক্সিজেনের (oxygen) সেন্সার এবং কমপ্রেসর (compressor) অক্ষম হয়ে যাওয়ার মতো একাধিক সমস্যাও রয়েছে এটিতে।
রাজস্থানে (Rajasthan) কেন্দ্রের পাঠানো ভেন্টিলেটরগুলির (ventilators) সমস্যার কথা প্রথম সামনে আনে উদয়পুরের মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ লখন পোসওয়াল। তিনি গত মাসের ৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কোভিড পর্যালোচনা সভায় ভেন্টিলেটরগুলির ত্রুটির বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরেন। রাজস্থান ছাড়াও ভেন্টিলেটরে গলদ দেখা মিলেছে ভারতের মধ্য প্রদেশ, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের মতো রাজ্যেও।
কেন্দ্রের পাঠানো ভেন্টিলেটরগুলির (ventilators) সমস্যা সম্পর্কে সচেতনের বার্তার সঙ্গে তাড়াতাড়ি সেগুলি সংশোধন করার বিষয়ে রাজ্য সরকার সচিব পর্যায় এবং মন্ত্রিপরিষদ পর্যায় থেকে একটি করে মোট দুটি চিঠি পাঠানো হয় কেন্দ্র সরকারকে বলে জানিয়েছেন অশোক গেহলট ।
রাজস্থানের (Rajasthan) সকল ভেন্টিলেটরগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য, কেন্দ্র কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত সংস্থা ১১ জন সদস্যের একটি দল পাঠিয়েছে, যারা ভেন্টিলেটরগুলি ঠিক করার কাজ করবে। তবে রাজ্যে কাজ করছে মাত্র ৬ জন, যাদের মধ্যে আবার ভেন্টিলেটর ঠিক করবার কাজে খানিকটা অভিজ্ঞতার অভাব দেখা দেওয়ায় তারা কাজে ব্যর্থ হচ্ছে বলে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.