নয়াদিল্লি: সংক্রমণ কমছে রাজধানীতে? অন্তত দিল্লির (Delhi) স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায় এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendar Jain) বলেছেন, ‘‘গতকাল দিল্লিতে ১০ হাজার ৪৮৯টি করোনা পজিটিভ কেস ছিল৷ পজিটিভিটি রেট ছিল ১৪.২৪ শতাংশ৷ দিল্লিতে সর্বোচ্চ পজিটিভিটি রেট ছিল ৩৬ %৷ তাই এখন এটি তার অর্ধেকেরও কম।
২৪ এপ্রিল থেকে করোনার সংক্রমণের প্রবণতা কমছে৷’’ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল হয়ে পড়ে রাজধানী দিল্লি। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের চরম সংকট দেখা দেয়। একাধিক হাসপাতালে অক্সিজেন না থাকায় রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শেষমেশ আদালতের হস্তক্ষেপে দিল্লিকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে তৎপরতা নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। অন্য রাজ্যগুলি থেকে অক্সিজেন পাঠানো হয় দিল্লিতে। এরপর খোদ দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই ইঙ্গিতে স্বস্তি মিলেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যানে এমনিতেই ক্ষণিকের স্বস্তি মিলেছে। সামান্য নিম্নমুখী দেশের করোনাগ্রাফ। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। কমেছে মৃতের সংখ্যাও। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৪৪ জন।
বৃহস্পতিবার ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৭২৭ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরশুর পর ফের এদিন আক্রান্তের সংখ্যা নামল সাড়ে ৩ লক্ষের নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যাও কমেছে। যদিও তা রয়েছে ৪ হাজারের গণ্ডিতেই। বৃহস্পতিবার যেখানে ৪ হাজার ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে শুক্রবার ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
দেশের করোনা পরিস্থিতির এই সার্বিক চিত্রের পাশাপাশি দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের কথাতেও স্বস্তি মিলেছে। রাজধানীতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সত্যেন্দ্র জৈন। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, ‘‘গতকাল দিল্লিতে ১০ হাজার ৪৮৯টি করোনা পজিটিভ কেস ছিল৷ পজিটিভিটি রেট ছিল ১৪.২৪ শতাংশ৷ দিল্লিতে সর্বোচ্চ পজিটিভিটি রেট ছিল ৩৬ %৷ তাই এখন এটি তার অর্ধেকেরও কম। ২৪ এপ্রিল থেকে করোনার সংক্রমণের প্রবণতা কমছে৷’’
শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৩ লক্ষ ৭২ হাজার ৪৭৫ জন। ইতিমধ্যেই ১২ লক্ষ ৭৪ হাজার ১৪০ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। দিল্লিতে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৬১৮ জনের।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.