কলকাতার পর হাওড়াতে! জমা জলে তড়িতাহিত হয়ে মৃত্যু হল আরও এক যুবকের

গত কয়েকদিন আগেই কলকাতায় জমা জলে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। খোদ রাজভবনের সামনে কীভাবে খোলা তার পড়ে থাকতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। যদিও সিইএসসি এই ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলেছে।

তাহকে দোষ কার? এই নিয়ে নয়া তরজা। যদিও ইতিমধ্যে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

তড়িদাহত হয়ে মৃত হল আরও এক যুবকের। যা নিয়ে নতুন করে তরজা শুরু হয়েছে।

গত মঙ্গলবার মুষলধারে বৃষ্টি হয়। কলকাতা, হাওড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গাতে ঘন্টা দুয়েক ধরে লাগাতার বৃষ্টি হয়। যার জেরে ব্যাপক জল জমে যায়। কোথায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমে যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কলকাতা তো বটেও হাওড়ার বিশাল অংশে জল জমে রয়েছে এখনও। আর তাতেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর বিপদ!

জমা জলে তড়িতাহিত হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার জিসিআরসি ঘাট রোডে ঘটনাটি ঘটে। মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বয়স আনুমানিক ২০ বছর বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কলকাতার ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি এর মধ্যেই একই ঘটনা ঘটে গেল এবার হাওড়াতেও।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যে নাগাদ ওই যুবক দুধের ক্যান নিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। রাস্তার ত্রিফলা ইলেকট্রিক পোল সম্ভবত শর্ট হয়ে ছিল। জায়গাটি বাঁশ দিয়ে ঘেরা ছিল। ওই যুবক বাঁশ টপকে যেতে গিয়ে পড়ে যান। তখনই ইলেকট্রিক পোল ধরতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

এরপর ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনার পরেই প্রশাসনের তরফে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ঝড়বৃষ্টির ফলে রাজভবনের উত্তর দিকের গেটের সামনে জল জমে যায়। হাইকোর্টের দিক থেকে ধর্মতলার দিকে আসছিলেন এক ব্যক্তি। আচমকাই তিনি জলে পড়ে যান। যেখানে তিনি পড়ে যান, তার সামনেই একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ছিল।

সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই ফুটপাতের গায়েই একটি বিদ্যুতের খুঁটি ছিল।

তার গোড়ায় খোলা অবস্থায় ছিল বিদ্যুতের তার। কোনও কারণে খোলা তারের সংস্পর্শে আসেন ওই পথচারী। তাতেই তাঁর মৃত্যু হিয় বলে দাবি। এই ঘটনা নিয়ে সরগরম পরিস্থিতি। এর মধ্যেই হাওড়াতে একই ঘটনা।

অন্যদিকে বহু জায়গাতে এখনও জল জমে রয়েছে। নামেনি জল। যদিও জল না নামার কারণ হিসাবে কর্মীদের উপর চাপিয়েছে কলকাতা পুরসভা। জানানো হয়েছে যে, ১১ মে কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের ১৬০ জন কর্মী ঠিকঠাক কাজ করেননি।

সেজন্যই বৃষ্টির পর দীর্ঘক্ষণ ধরে জমা জলের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় শহরবাসীকে। ডিজি নিকাশিকে কারণ দর্শানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ নিকাশি বিভাগের সেই ১৬০ জন কর্মীকে তলব করা হলেও, উপস্থিত ছিলেন ৭৬ জন কর্মী।

গরহাজির বাকি কর্মীদের আজ অনুপস্থিত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে।