অক্ষয় তৃতীয়ার তাৎপর্য ও কিছু শাস্ত্র কথা
কথিত রয়েছে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে সত্য যুগের অবসানে , ত্রেতা যুগের শুরু হয়। এমন দিনে পরশুরামের জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। বিষ্ণুর দশম অবতার এই এই পরশুরাম এমন দিনে জন্মধারণ করেছিলেন বলে জানা যায়। কথিত রয়েছে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে মহাভারত লেখা শুরু করেন বেদব্যাস। এছাড়াও পুরী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার রথ নির্মাণ এই দিন থেকে শুরু হয়।
পালনীয় রীতি
প্রসঙ্গত, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনটিকে ধনতেরসের মতো দেখা যায়। ধনতেরসেও তৃতীয়াতেই সোনা কেনা হয়, আর অক্ষয় তৃতীয়াতেও সোনা কেনার রীতি প্রচলিত। এতে ঘরে সৌভাগ্য সমৃদ্ধি আসে। এমন দিনে সোনা ছাড়াও যে কোনও জিনিস কিনলে তার বিনাশ হয়না বলা হয়।
দান
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন শস্য ছড়িয়ে দেওয়া বা কাউকে গুড়, বাতাসা, বস্ত্র দান করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি রীতি বলে মনে করা হয়। এমন দিনে দানছত্র করলে , গৃহস্থে অর্থাভাব থাকে না বলে মনে করা হয়।
পিতৃ আরাধনা
অনেকেই অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে দান ছত্র ছাড়াও গমেশ ও লক্ষ্মীর পুজোপাঠ করেন। অনেকে আবার এমন দিনে পিতৃ তর্পণ করেন। এছাড়াও ভারতের কোনও কোনও কোনও জায়গায় বিষ্ণুকে পুজো দেওয়ার রীতি প্রচলিত।
বিবাদ থেকে দূরে
বৈশাখের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়াতে এমন দিন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তাই অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে সাত্বিক ভোজনের পরামর্শ দেন শাস্ত্রজ্ঞরা। এছাড়াও এমন দিনে ঝগড়া-বিবাদ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তাঁরা। এমনকি ঘরের অন্দর পরিষ্কার রাখার বার্তা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।