বন্ধ লোকাল ট্রেন
৫ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বড় সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। তারপর থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তাতে তীব্র সংকটে পড়েছেন অফিস যাত্রীরা। যদিও রাজ্যর সব সরকারি বেসরকারি দফতরে লোকাল অর্ধেক কর্মী দিয়ে কাজ করানোর কথা বলা হয়েছে।
সমস্যায় নিত্য যাত্রী
অফিসের কাজে কর্মী সংকোচন করা হলেও স্বাস্থ্য এবং জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের কাজে যেতে প্রবল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রেলের কাছে রাজ্যের তরফে অনুরোধ করা হয়েছিল রেলকর্মীদের জন্য চালানো স্পেশাল ট্রেনে যেন স্বাস্থ্যকর্মীদের উঠতে দেওয়া হয়। হাওড়া এবং শিয়ালদহ দুই জায়গাতেই অনুরোধ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার।
রাজ্যের আর্জিতে অনুমোদন
রাজ্যের অনুরোধ মেনে নিয়ে শেষে স্বাস্থ্যকর্মীদের স্পেশাল ট্রেনে ওঠার অনুমতি দিল রেলওয়ে। সরকারি এবং বেসরকারি সব ক্ষেত্রের স্বাস্থ্যকর্মীরাই উঠতে পারবেন এই স্পেশাল ট্রেনে। তবে তার জন্য তাঁদের পরিচয় পত্র দেখাতে হবে। গতবার এই স্পেশাল ট্রেনে সফর নিয়ে একাধিক জায়গায় ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছিল।
করোনা রুখতে পদক্ষেপ
করোনা সংক্রমণে রাশ টানতেই লোকাল ট্রেন পরিষেবায় রাশ টানা হয়। এছাড়াও একাধিক চালক, গার্ড এবং টিকিট পরীক্ষাক করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় ট্রেন চালানো কঠিন হয়ে পড়ছিল। একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। তারপরেই ৫ তারিখ থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।