প্রাচীন সমাজের ও মানুষের বিবর্তনের অনেক কথা আমরা জানতে পারি গুহাচিত্র থেকে। চিত্রশিল্পের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত হলো এই গুহাচিত্র (cave painting)।
তখন মানুষ কীভাবে জীবন কাটাতো ও ধীরে ধীরে কীভাবে পরিবর্তন হলো তা জানতে পারা যায় এর থেকেই। আবিষ্কার করা বিভিন্ন গুহাচিত্রগুলোর (cave painting) মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার মারকো দ্বীপের গুহাচিত্রটিই সম্ভবত সবচেয়ে প্রাচীন যার আনুমানিক বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর।
গুহাচিত্রগুলো (cave painting) ভালো করলে দেখলে বোঝা যাবে যে এর মূল বিষয়বস্তু ছিল শিকার, নানা ধরণের জীব-জন্তু এবং সেই সময়ের মানুষের জীবন চালানোর ব্যবস্থা।
প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষের প্রধান শিকার করার জন্তু হয়ে উঠেছিলো বাইসন ও হরিণ। এই প্রাণীগুলো শিকারের চিত্রই বেশিরভাগ ছবিতে ফুটে উঠেছে।
কোনো ছবিতে আছে অস্ত্র-বিদ্ধ পশু, আবার কোনোটায় আছে আহত পশু। কোনোটিতে অনেক ধরণের পশুর পালও আঁকা রয়েছে।
মানুষকে নিয়ে আঁকা ছবিগুলোর মধ্যে আছে ঘোড়াসওয়ারের ছবি, নানা ধরণের নৃত্যের ভঙ্গিমা, বিভিন্ন ধর্মীয় আচারের ছবি এঁকেছে তারা। শুধু ফ্রান্স এবং স্পেন থেকেই প্রায় ৩৪০টি গুহাচিত্র (cave painting) আবিষ্কৃত হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় আবার স্যান (Syan) জাতির মানুষের আঁকা কিছু চিত্র পাওয়া গিয়েছে যা গুহায় আঁকা। এগুলোর আবার আনুমানিক বয়স ৩ হাজার বছর।
এতে যেমন মানুষের ছবি আছে তেমন আছে পশুর ছবি। ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই এগুলো আঁকা হয়েছে বলে সকলে মনে করেন।
২০০২ সালে এক ফরাসী প্রত্নতাত্বিক দল সোমালিয়ায় ৫ হাজার বছরের একটি গুহাচিত্রের খোঁজ পায় যেখানে বন্যপশু ও সাজসজ্জা করা গরুর ছবি খুঁজে বের করে তারা। শিল্পীরা প্রাকৃতিক উপাদানই নিয়েই চিত্রগুলি আঁকত।
রঙ হিসেবে রঙিন মাটি, কয়লা ও বিভিন্ন খনিজ দ্রব্য ব্যবহার করতো তারা। গুহার দেওয়াল সমান করার জন্য পাথর দিয়ে ঘষার কায়দাও জানতো তারা।
অন্ধকার গুহায় আলো জ্বালানোর জন্য পাথরের প্রদীপ জ্বালানো হতো যার জ্বালানি ছিল শিকার করা পশুর চর্বি। ভারতের মধ্য প্রদেশের প্রাচীন মানব বসতির নিদর্শন হিসেবে রয়েছে ভীমবেটকা প্রস্তরক্ষেত্র।
এখানে পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন চিত্রটি নাকি আবার ৩০ হাজার বছর আগের। এই চিত্রগুলোতে মানব শিশুর জন্ম থেকে নৃত্য,ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মৃতদেহ সৎকারের দৃশ্য সবই রয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.