জয়পুরঃ নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর মাত্র দু’মাস হল। এরই মধ্যে জয়পুরের প্রাইভেট স্কুলগুলি ফি (School Fee) পরিশোধ না করার কারণে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে যেতে বাধা দিচ্ছে। যার ফলে অমান্য করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট এবং রাজ্য সরকারের আদেশ। তবে অবাক করার মতো বিষয়, তাদের বাবা-মা হাসপাতালে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে অসহায় শিক্ষার্থীদের এভাবে অনলাইন ক্লাসে ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছে একাধিক মহল।
সেখানে এক পড়ুয়ার বাবা যশবন্ত চৌধুরী জানান, যশ্রী প্রিরিওয়াল স্কুলে তার বাচ্চা পড়াশোনা করে। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “আমি ২৩ এপ্রিল কোভিড পজিটিভ হয়েছি এবং তার দুদিন পরে স্কুল থেকে ফি দেওয়ার জন্য কল পেয়েছি। আমি তাদের বলেছিলাম যে আমি গত শিক্ষাবর্ষের অর্ধেক ফি দিয়েছি এবং সম্প্রতি জারি হওয়া সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশাবলী অনুসারে কিস্তিতে আগস্ট পর্যন্ত বাকী টাকা পরিশোধ করব। কিন্তু আমার বাচ্চাকে ৩ মে অনলাইন ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হল না। ” একইভাবে অনন্য অভিভাবকের গলাতেও একই সুর শোনা যাচ্ছে। তারাও জানাচ্ছেন, এদিকে হাসপাতালে কোভিডের সাথে লড়াই করছি, কিন্তু ওদিকে ফি পরিশোধ না করার কারণে স্কুলের তরফে অনলাইন ক্লাসে (Online Class) ঢুকতে বাচ্চাদের বাঁধা দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, ডিইও রামচন্দ্র পিলানিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানালেন যে, “আমরা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের কাছে একটি নোটিশ পাঠিয়েছি। তাঁতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা উল্লেখ করে সেই সমস্ত শিক্ষার্থীদের, যাঁদেরকে অনলাইন ক্লাস থেকে ব্লক করা হয়েছিল, তাঁদেরকে পুনরায় ক্লাস করার অনুমতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তবে বিশেষজ্ঞ মহলের মত, করোনার এহেন সংকটজনক পরিস্থিতিতে স্কুলের তরফে এভাবে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস থেকে বাদ দেওয়া একেবারেই অনুচিত। বিশেষ করে যেখানে পড়ুয়াদের বাবা-মারা মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সামাজিক মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরাও।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা দেশে করোনায় (Corona) আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৭২৭ জন। বুধবারের তুলনায় বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪২১ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। সংখ্যা সাড়ে ৩ লক্ষের নিচেই ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ১০০ জনের মতো কমেছে। যদিও তা রয়েছে ৪ হাজারের উপরেই। বুধবার যেখানে ৪ হাজার ২০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১২০ জনে। কমেছে দৈনিক সুস্থতার হারও। বুধবার ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৩৮ জন সুস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ১৮১ জন মানুষের সুস্থতার খবর এসেছে। এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৫ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ১০ হাজার ৫২৫ জন। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৯৭ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮২৩ জন। দেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩১৭ জনের। মোট ১৭ কোটি ৭২ লক্ষ ১৪ হাজার ২৫৬ জনকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.