পর পর এয়ারস্ট্রাঅক আছড়ে পড়েছে গাজার বুকে। ইজরায়েল বনাম হামাস সংঘাতের চূড়ান্ত একটা রূপ সম্ভবত এবার সামনে আসতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, এর আগে গত সোমবার থেকে দুই শিবিরে প্রবল সংঘাত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬৭ জনের মৃত্যু সংবাদ এসেছে। এর আগে ইজরায়েলে হামাসের রকেট হামলা হয়। পরবর্তীকালে তাল প্রতিশোধে হামাসের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সামরিক ব্যক্তিত্বকে ইজরায়েল নিকেশ করেছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত দুই তরফেই পরিস্থিতি প্রবল উত্তেজনার।
এদিন ভোর রাতে নতুন করে সংঘর্ষে উস্কানি দিয়ে তেল আভিভ ও জেরুজালেমকে টার্গেটে রেখে হামাস রকেট লঞ্চ করতে থাকে। প্রসঙ্গত, গাজা ভূখণ্ডে হামাসের দাপট খর্ব করতে যে ইজরায়েল এক চুল পিছপা হবে না, তা সোমবারই জানান ইজরায়েলের রাষ্ট্রনেতা বেঞ্জামিন নেতানউয়াহু। গাজার তরফে জানানো হয়েছে , সেদেশে অব্যাহত রয়েছে হতাহতের সংখ্যা। দুই পক্ষের সংঘাতে এপর্যন্ত ৩০০ জন আহত। রক্তাক্ত অবস্থায় ৮৯ জন শিশু আঘাত পেয়েছ।
এদিকে বিশ্বের তাবড় শক্তিধর দেশ চাইছে দুই পক্ষের সংঘাত এবার প্রশমিত হোক। তবে বহু বছর ধরে চলে আসা ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ এবার কার্যত ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে, তিনি চান এই যুদ্ধ প্রশমিত হোক। গাজা ভূখণ্ড নিয়ে দুই দেশের মাঝে মধ্যস্থতার জন্য আমেরিকা দূত প্রেরণ করছে বলে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ক্রমাগত যুদ্ধের চোরাস্রোতে থাকা এই ভূখণ্ড ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে প্যালেস্টাইন বনাম ইজরায়েল সংঘাত। এই পরিস্থিতিতে হ্যাডি আমরকে ওয়াশিংটনন সেখানে মধ্যস্থতার জন্য় পাঠাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, এশিয়া থেকে পাকিস্তান রয়েছে প্যালেস্টাইনে পক্ষে। তুরস্ক জানিয়েছে এই যুদ্ধে সমস্ত মুসলিম দেশকে একজোট হয়ে পাশে থাকতে হবে।