কলকাতা: করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে ভেঙে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে আক্রন্ত রোগীর সংখ্যা। পশিচমবঙ্গে ভাইরাসের ক্রমশ বেড়ে চলার কারণে আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। রাজ্যে অধিক জমায়েত হতে পারে এমন সমস্ত জায়গা এবং পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে লোকাল ট্রেন, থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। তৃণমূল সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে শিক্ষা মন্ত্রীর পদে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, গরমের ছুটির কারণে বন্ধ হচ্ছে রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়গুলি। তবে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও করোনা মহামারীর সময়ে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা স্থগিত হবে নাকি বাতিল করা হবে সেই বিষয়ে কিছু পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেনি রাজ্য সরকার।

বুধবার পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল (ডাব্লুবিসিএইচএসই) তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ -এর দ্বিতীয় তরঙ্গের মধ্যে জুনে নির্ধারিত দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করা হচ্ছে। এর আগে ঘোষণা করা হয়েছিল যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ১৫ ই জুন শুরু হবে এবং ২ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

ডাব্লুবিসিএইচএসই-র সভাপতি মহুয়া দাস বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ে নেওয়া হবে নাকি পরীক্ষা বাতিল অথবা স্থগিত করা হবে সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছে কাউন্সিল। এর পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে চলতি বর্ষে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা নিজেদের স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে বলেও জানিয়েছে কাউন্সিল।

অন্যদিকে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (ডাব্লুবিবিএসই) তরফে জানানো হয়েছে, মধ্যমিক পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। মধ্যমিক পরীক্ষা আগামী ২ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ডাব্লুবিবিএসই এর সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলিও একই সুরে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে নাকি তা স্থগিত অথবা বাতিল করা হবে সেই বিষয়ের জন্য রাজ্য সরকারের নির্দেশের অপেক্ষা করা হচ্ছে।

রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পশ্চিমবঙ্গে নতুন নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২০,০০০ লঙ্ঘন করেছে, এবং রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১,২৮,৬৮৭ জন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.