নয়াদিল্লি: ভারত গত ২ মাসের মধ্যে সোমবার এই প্রথম করোনা (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। মঙ্গলবারও তা অব্যাহত ছিল। যদিও ভারত এখনও আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের উপরেই রয়েছে। কিন্তু একাধিক জায়গায় আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের (Union health ministry) তথ্য অনুযায়ী ১৮টি রাজ্য়ে করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সেই সব রাজ্যও যেখানে করোনা সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছিল। যেমন- মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলাঙ্গানা ও বিহার। ২ মাসের মধ্য়ে এই রাজ্যগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উত্তর পূর্ব ভারতে। এছাড়া রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক, গোয়া, পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। ২০২০ সাল থেকে এই রাজ্যগুলির মধ্যে একাধিক রাজ্য করোনার কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করছে। বেশিরভাগ জায়গায় করোনাকে গোড়ায় শনাক্ত করা সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেশের মধ্যে ৯০টি জেলায় কোভিডের পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র লাভ আগারওয়াল জানিয়েছেন, ৭৩৪টি জেলার মধ্য়ে ৫৩৩টিতে এখনও পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের বেশি। দেশের পজিটিভিটি রেট ১৮ শতাংশ।

যে সব জেলাগুলিতে করোনা পরিস্থিতি গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হয়েছে সেগুলি হল- বেঙ্গালুরু শহর, মহীশূর (কর্ণাটক), চেন্নাই, চেঙ্গালাপাটু, তিরুভাল্লুর (তামিলনাড়ু), এরনাকুলাম ও মালাপ্পুরাম (কেরল), কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা (পশ্চিমবঙ্গ), মহারাষ্ট্রের সাতারা। গত ২ সপ্তাহে দেশে করোনার পজিটিভিটি রেট ২০ থেকে ২২ শতাংশ। ৪০ শতাংশেরও বেশি জেলায় (৭৩৪ এর মধ্য়ে ৩১০টি) পজিটিভিটি রেট বেশি। অর্থাৎ এই জায়গাগুলিতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা গোটা দেশের হারের চেয়েও বেশি। গ্রামীণ ভারত সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছে। ১৩৭ কোটি ভারতবাসীর মধ্যে গ্রামেই বেশিরভাগ মানুষ থাকেন। তাঁদের করোনা নিয়ে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এই পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে অনেকেই বলছেন, করোনার গ্রাফ যতই নামুক বলে জানাক কেন্দ্র, সংক্রমণের ঝুঁকি এখনই কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.