স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: করোনা সংক্রমণ রুখতে লোকাল ট্রেন বন্ধ করেছে রাজ্য সরকার৷ কমানো হয়েছে বাস, মেট্রোর সংখ্যা৷ তবে জলপথে ছাড় দেওয়া হচ্ছে৷ এমনকি একাধিক ঘাট থেকে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

গতবার লকডাউনের পর যখন ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছিল, সেই সময় যাত্রী সুবিধার্থে চন্দননগর, চুঁচুড়া, হুগলি, শ্রীরামপুর, নৈহাটি, বেলুড়, উত্তরপাড়া, দক্ষিণেশ্বর, বরাহনগর কুঠিঘাট-সহ একাধিক ঘাট থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছিল । বিশেষত সকাল এবং বিকেলে অফিস টাইমে ঘনঘন ভেসেল চালিয়ে সরকার যাত্রী ভোগান্তি অনেকটা কমিয়েছিল। এবার একই কায়দায় যাত্রীদের শহরে আসার পথ প্রশস্ত করতে চাইছে পরিবহন দফতর।

আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রায় ২১ হাজার

ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিবহন দফতর জানিয়েছে, একটি পাসেই সারাদিন বাস-ট্রাম-ফেরিতে চলাফেরা করা যাবে৷৷ রাজ্য পরিবহন নিগম ‘সিটি ট্রাভেল পাস’ চালু করেছে। এই বিশেষ পাসের দাম ১০০ টাকা৷ ২১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে কলকাতায়৷ বাস, ট্রামের কন্ডাক্টর ও বিভিন্ন ডিপোতে এইপাস পাওয়া যাচ্ছে৷ ফেরির টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা যাচ্ছে এই পাস। এছাড়া বিমানবন্দর, হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনেও এই পাস পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি ডব্লিউবিটিসি-র ওয়েবসাইট থেকেও এই পাস বুক করা যায়৷  এই পাসের মাধ্যমে রাজ্য পরিবহন নিগম এর যে কোনও বাসে চড়া যাবে। চড়া যাবে ভেসেলে। এছাড়া সমস্ত ধরণের ট্রাম ও ভেসেলে উঠা যাবে। যদিও আগেই বাস, ট্রাম ও ফেরির নিত্যযাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে স্মার্ট কার্ড চালু করেছিল পরিবহন নিগম৷

প্রায় ৩০ হাজার যাত্রী এই পরিষেবার সুবিধা পান৷ তবে এতদিন স্মার্ট কার্ড রিচার্জের জন্য নিগমের নির্দিষ্ট করা ৩০টি পয়েন্ট অফ সেলস কাউন্টারে যেতে হত যাত্রীদের৷ এবার ঘরে বসেই যাত্রীরা স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন৷ স্মার্টকার্ড রিচার্জের জন্য যাত্রীদের প্রথমে www.online.wbtc.co.in পোর্টালে যেতে হবে৷ সেখানে গিয়ে স্মার্টকার্ড ব্যবহারকারীদের মোবাইল নম্বর বা রিচার্জ কার্জটির নম্বর দিতে হবে৷ এরপর কত টাকার রিচার্জ করতে চান সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে৷ সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা অবধি রিচার্জ করা যাবে৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.