মৃত্যুর সম্ভাবনা কতটা ?
ভিন্ন টিকা ডোজ নেওয়ার ফলে এখনও পর্যন্ত কোনও মানুষের মৃত্যুর খবর না এলেও বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিছুদিনের জন্য দেখা যাচ্ছে। তবে গবেষণায় এটা স্পষ্ট এভাবে মিলিয়ে মিশিয়ে টিকা দিলে খুব বেশি ক্ষতির আশঙ্কা নেই। সেক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশ খানিকটা বেশি হলেও তা আবার সেরেও যাচ্ছে।
কী বলছে নয়া গবেষণা ?
তবে ব্যক্তি বিশেষে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ধরণে ভিন্নতা দেখা দিচ্ছে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে এই নয়া গবেষণায়। এদিকে বেশিরভাগ করোনা ভ্যাকসিনই কার্যত দুই ডোজ বিশিষ্ট। প্রথম ডোজে শরীরে কোভিডের অনাক্রম্যতা তৈরি হয়। দ্বিতীয় ডোজে প্রথম ডোজে তৈরি হওয়া করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সেই ক্ষেত্রে ভিন্ন সংস্থার ভিন্ন টিকা ডোজ নিলে খানিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থাকলেও টিকার ঘাটতি মেটাতে এই উপায় অনেকটাই কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
১০ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এদিকে অক্সফোর্ডের এই গবেষণা ইতিমধ্যেই দ্য ল্যান্সেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে একটি সংস্থার এক টিকার দুটি ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের মাত্র ৩ শতাংশের মধ্য়ে এইরকম পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কিন্তু, মিশ্র ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ মাথাব্যাথা, ঝিমুনির, জ্বালা ভাব সহ একাধিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করেছে।
কাদের উপর চালানো হয় এই গবেষণা ?
তবে অক্সফোর্ডের তরফে এই গবেষণা প্রথমে ফাইজার পরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ডোজ গ্রহণকারীদের উপর চালানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে ভারতে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন একযোগে নেওয়ার প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে খানিক ভিন্নতা থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে বর্তমানে প্রায় ১৫০ দিনের কাছাকাছি সময় ধরে টিকাকরণ চলছে ভারতে। এখনও পর্যন্ত একটি ও দুটি ডোজ মিলিয়ে টিকা পেয়েছেন সাড়ে ১৭ কোটির কাছাকাছি মানুষ।