ভ্যাকসিন ঘাটতি দেশজুড়ে, ২০০ কোটির বেশি ভ্যাকসিন উপলব্ধ হবে আগামী পাঁচমাসে, আশ্বাস কেন্দ্রের

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভের মাঝেই ভ্যাকসিনের ঘাটতির জন্য বহু রাজ্যেই এখনও ঠিকমতো তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হতেই পারেনি। তবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয় যে অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ২০০ কোটির বেশি ভ্যাকসিন দেশে উপলব্ধ হবে, যা যথেষ্ট দেশের জনসংখ্যার জন্য।

কেন্দ্র এও জানিয়েছে যে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রাশিয়ার কোভিড ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি উপলব্ধ হয়ে যাবে। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল বলেন, '‌পাঁচ মাসের মধ্যে ভারত ও ভারতের নাগরিকদের জন্য ২১৬ কোটি ডোজ তৈরি হবে। আমরা এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিনও উপলব্ধ হবে।’‌ তিনি আরও জানান যে আগামী বছরের প্রথম কয়েকটি মাসের মধ্যে ৩০০ কোটি ভ্যাকসিন দেশে উপলব্ধ হবে। তিনি জানিয়েছেন অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরে, ৭৫ কোটি ডোজ কোভিশিল্ড ও ৫৫ কোটি ডোজের কোভ্যাকসিন দেশে পাওয়া যাবে।

রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২১ হাজার ছুঁই ছুঁই, একদিনে মৃত ১২৯, ভয় ধরাচ্ছে শহর কলকাতারাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২১ হাজার ছুঁই ছুঁই, একদিনে মৃত ১২৯, ভয় ধরাচ্ছে শহর কলকাতা

এগুলি ছাড়াও বায়োলজিক্যাল ই ৩০ কোটি ডোজ, জাইডাস ক্যাডিলা ৫ কোটি ডোজ, সিরাম ইনস্টিটিউট ২০ কোটি ডোজ নোভ্যাক্সের ও ভারত বায়োটেক ১০ কোটি ডোজ নাকের ভ্যাকসিন তৈরি করবে। এছাড়াও জেনোভা ৬ কোটি ডোজ ও স্পুটনিক ভি ১৫.‌৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ‌তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে। কিন্তু এখনও অনেক রাজ্যই ভ্যাকসিনের অভাবে দ্বিতীয় ওয়েভের সংক্রমণে নাজেহাল হওয়া সত্ত্বেও টিকাকরণ শুরু করতে পারছে না। তাই এ বার নিজেদের উদ্যোগেই প্রয়োজনীয় টিকার সংগ্রহ করতে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকতে চলেছে একাধিক রাজ্য সরকার। দিল্লি, তেলঙ্গানা, কর্নাটক, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ই–টেন্ডারের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সংগ্রহে উদ্যোগী হয়েছে। গত ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে।