করোনার ভ্যাকসিন সংকটের মাঝে আশার আলো, স্পুটনিক নিয়ে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

ভ্যাকসিন ইস্যুতে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রবল হাহাকার। প্রথম ডোজ কেউ পেয়ে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন। আবার কেউ ডোজ প্রাপক হিসাবে যোগ্য হয়েও এখনও ভ্যাকসিন পাননি। এরই মাঝে এদিন কেন্দ্রের কাছে ভ্যাকসিন নিয়ে বিশেষ প্যানেলের প্রস্তাবনা এসেছে। যার এতটা বড় অংশ কার্যত মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। এরই মাঝে স্পুটনিক নিয়ে বড় ঘোষণা করল মোদী সরকার।

স্পুটনিক ও মোদী সরকার

নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল এদিন দিল্লিতে জানিয়েছেন, 'আশা করা যাচ্ছে স্পুটনিক ভি আগামী সপ্তাহ থেকে বাজারে পাওয়া যাবে। ' তাঁর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের ভ্যাকসিন সংকটের মাঝে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা যচ্ছে। ভারতে যেখানে করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা সাড়ে তিন লাখের বেশি কার্যত গত কয়েকদিনে, সেখানে এই বার্তা নিঃসন্দেহে একটি বড় খবর।

কোভিশিল্ড নিয়ে বড় বার্তা

বর্তমানে ভারতে দুটি ভ্যাকসিন প্রযোজ্য। তার মধ্যে একটি কোভিশল্ড অন্যটি কোভ্য়াকসিন। এদিকে এদিন সরকার সাফ জানিয়েছে, বিশেষ প্যানেলের পরামর্শ মেনে তারা এবার থেকে কভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ ব্যবধান রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আগে এই ব্যবধান ছিল ২৮ দিনের। বর্তমানে তা বেড়ে গেল।

তবে খাস নজরে রয়েছে স্পুটনিক

এদিন নীতি আয়োগের তরফে বলা হয়েছে, রাশিয়ার তরফে যে দাবি করা হচ্ছে যে স্পুটনিকের একটি ডোজই যথেষ্ট, সেই তত্ত্বের দিকে ভারত বিশেষ নজর রাখছে। স্পুটনিকের একটি ডোজই যথেষ্ট কি না, তা করোনা থেকে রক্ষা করতে পারে কি না, সেদিকে দিল্লির নজর রয়েছে বলে এদিন জানানো হয়।

স্পুটনিকে কোন সুবিধা?

প্রসঙ্গত, স্পুটনিক নির্মাতারা দাবি করেছেন, এই ভ্যাকসিনের একটি ডোজই করোনা প্রতিরোধে যথেষ্ট। তবে ভারতের তরফে নীতি আয়োগ জানিয়েছে, স্পুটনিকের দাবি তারা খতিয়ে দেখছে। এই বিষয়ে উপসংহারে পৌঁছতে আরও বেশ কিছু তথ্য প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মাসে স্পুটনিককে ছাড়পত্র দিয়েছে মোদী সরকার। এবার আগামী সপ্তাহ থেকে তা বাজারে আসতে পারে বলে বড়সড় বার্তা দিল কেন্দ্র।