কাঠমান্ডু : অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হল দুই পর্বতারোহীর। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে গিয়েছিলেন তাঁরা। একজন এভারেস্ট জয় করে ফেরার পথে মারা গিয়েছেন। অপরজন সামিট শেষ করার একদম কাছে এসে মারা গিয়েছেন। গতবার করোনার জন্য এভারেস্ট অভিযান হয়নি। এবার রাস্তা খুললেও একের পর এক করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছিল। তবে অভিযানে গিয়ে মৃত্যু হয়নি। এবারে এই প্রথম পর্বতারোহীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

জানা গিয়েছে মৃতদের মধ্যে একজন মার্কিন এবং অপরজন সুইজারল্যান্ডের পর্বতারোহী। চ্যাং দাওয়া শেরপা তাঁর সোশ্যাল মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্ট থেকেই জানা গিয়েছে এবারের অভিযানে প্রথম দুর্ঘটনার খবর। বুধবার সন্ধ্যাবেলা এই ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের পর্বতারোহীর নাম আবদুল ওয়ারাইচ। মার্কিন পর্বতারোহীর নাম পুওয়েই লিউ।

আব্দুল এভারেস্ট জয় করে ফিরছিলেন। সাউথ সামিটের কাছে এসে বিপুল ক্লান্তি তাঁকে গ্রাস করে। মারা যান তিনি। নেমে আসার সময় অনেকক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটে। অক্সিজেন খাবার সব নিয়ে ছুটে যান দুই জিন শেরপা। শেষ রক্ষা হয়নি।

পুয়েই লিউ মারা যান সাউথ কোলে। তিনি চতুর্থ বেসক্যাম্পে ছিলেন। তখন তিনি ৭৯০০ মিটার। আর হাজার মিটারের মধ্যেই এভারেস্ট। হাতছানি দিয়ে ডাকল। কিন্তু পৌঁছানো হল।না। নেমেই আসছিলেন। বরফ অন্ধ হয়ে যান বা স্নো ব্লাইন্ডলেস কাবু করে দেয় তাঁকে। কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না। ক্লান্ত হয়ে পড়েন। অতিরিক্ত অক্সিজেনের সহায়তাও নেন। শেরপাও ছিল। কিছু করা যায়নি। দেহ উদ্ধার করতে পারে ‘Seven summit Treks’। এমনটাই খবর সূত্রের।

প্রসঙ্গত এভারেস্টেও করোনার সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল। করোনা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় নেপালের সাথে “বিচ্ছেদ রেখা” তৈরির পথ বেছে নিয়েছে চিন। এই রেখা পৃথক করবে দুই দেশেরই আরোহীদের।

এই উদ্দেশ্যে তিব্বতীয় পর্বতারোহণের গাইডের একটি দল পর্বতারোহী শীর্ষে পৌঁছনোর আগে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গটিতে পৃথকীকরণ রেখা তৈরি হবে। সোমবার এমনটাই জানাল চিনের জাতীয় সংবাদ সংস্থা সিংহুয়া।

তবে এটি এখনও স্পষ্ট নয় যে লাইনটি কীভাবে তৈরি হবে। চিন থেকে পাহাড়ের উত্তর দিকে আরোহণকারী আরোহীদের দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ নেপালের দিকে সম্পূর্ণ যোগাযোগ এড়ানোর জন্য লাইনটি তৈরি করা হবে এবং ওই অঞ্চলে পারাপার হওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ করা হবে।

তবে এ বছর নেপাল ৪০৮ জন বিদেশিকে এভারেস্টের শীর্ষে উঠতে অনুমতি দিয়েছে। চিনের পক্ষ থেকেও ২১ জন অভিযাত্রীদের এই অভিযানে যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল।

তবে নেপালে নতুন করে করোনা ভাইরাস মামলায় ঊর্ধ্বমুখী গতি এবং চীনের ক্রমহ্রাসমান মামলার পরিপ্রেক্ষিতে যোগাযোগ রোধে এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চিনের তরফে।

উল্লেখ্য, নেপালের কর্মকর্তারা এভারেস্টে করোনার প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হননি। নরওয়েজিয়ান এক পর্বতারোহী এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে গত মাসে জানিয়েছিলেন যে, তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সেখানে, তবে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠে তবেই সেখান থেকে ফেরেন তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.