উপসর্গহীন করোনা রোগীকে হোম আইসোলেশনে রাখুন, কী কী করণীয় এই সময় জেনে নিন এক নজরে

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভে ‌দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একেবারে ভেঙে পড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে উপসর্গহীন বা হাল্কা উপসর্গ রয়েছে এমন কোভিড–১৯ পজিটিভ রোগীদের বাড়িতেই আইসোলেশনে রেখে দেওয়া হোক। কিন্তু কতদিন পর্যন্ত একজন ব্যক্তি আইসোলেট থাকবেন?‌ উপসর্গ একেবারে চলে না যাওয়া পর্যন্ত কি সেই ব্যক্তিকে আইসোলেট হয়ে থাকতে হবে?‌


সংশোধিত এক গাইডলাইনে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সুপারিশ করেছে যে '‌উপসর্গ দেখা দেওয়ার ১০ দিন পর্যন্ত বা উপসর্গহানদের জন্য নমুনা সংগ্রহের পর থেকে ১০ দিন আইসোলেট এবং তিনদিন জ্বর না আসলে সেই ব্যক্তি সুস্থ বলে ধরে নেওয়া হয়।’‌ স্বাস্থ্য মন্ত্রক এও জানিয়েছে যে আইসোলেশেনের সময়কাল শেষ হয়ে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তিকে ফের কোভিড টেস্ট করাতে হবে। যদিও এটা সুপারিশে বলা হয়েছে যে রোগীকে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে চলতে হবে যাতে সে সঠিকভাবে আইসোলেশনের নিয়মগুলি মেনে চলে। বলা হয়েছে, '‌বাড়িতে আইসোলেশনের বিষয়টি চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে এবং চিকিৎসককেই তা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। নিরাপদে থাকতে ও রোগীকে খুব দ্রুত সেরে উঠতে তা সহয়তা করবে এবং সুস্থ হয়ে ওঠার সময় ঝুঁকি কমবে।’‌

বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার সময় রোগীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী কোভিডের যথাযথ সতর্কতা মেনে চলতে হবে।

‌‌* রোগীকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে, আলাদা ও নির্দিষ্ট একটি ঘরে এবং বাড়ির অন্যান্যদের থেকে দূরে, বিশেষ করে বয়স্ক ও হাইপারটেনশন, কার্ডিওভ্যাসকুলার, মূত্রাশয়ের রোগ সহ কো–মরবিড রয়েছে এমন ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকতে হবে রোগীকে।

*রোগীকে খোলামেলা ঘরে এবং বাতাস চলাচল করতে পারে এবং জানলা খোলা রয়েছে যেখান থেকে বাতাস ঘরে ঢুকতে পারে এমন জায়গায় থাকতে হবে।

*রোগীকে সর্বদা ত্রি–স্তরের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আটঘণ্টা পর সেই মাস্কটি ফেলে দিতে হবে বা আগেই যদি তা কোনওভাবে ভিজে যায় বা ঘাম লেগে থাকে তবে তা তৎক্ষণাত বদলে ফেলা উচিত। যদি ঘরে কেয়ারগিভার প্রবেশ করেন সেক্ষেত্রে কেয়ারগিভার ও রোগী উভয়কেই এন ৯৫ মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

* ১ শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার পরে কেবল মাস্কটি ফেলে দেওয়া উচিত। * রোগীকে বিশ্রাম নিতে হবে এবং হাইড্রেট থাকার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।

* সবসময় শ্বাস–প্রশ্বাসের নিয়মগুলি মেনে চলুন।

* অন্যান্যদের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত জিনিস ভাগ করে নেবেন না।

*সাবান ও জল দিয়ে কমপক্ষে ৪০ সেকেন্ড ধরে ঘন ঘন হাত ধুতে হবে বা অ্যালকোহল রয়েছে এমন স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করতে হবে।

* ঘরের মধ্যে যে জিনিসগুলিতে বারবার হাত দেওয়া হয় তা যেন পরিস্কার থাকে (‌টেবিলের ওপর, দরজার হাতল, হ্যান্ডেল ইত্যাদি)‌। এই জিনিসগুলিকে ১ শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।

*পাল্‌স অক্সিমিটার দিয়ে রক্তের অক্সিজেন সম্পৃক্ততা নিজে থেকে বারবার পরীক্ষা করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।