প্রয়াত অলিম্পিয়ান সোনাজয়ী হকি তারকাদের পাশে কেন্দ্রীয় সরকার

১৯৮০ সালে শেষবার অলিম্পিক্সে হকিতে সোনা জিতেছিল ভারত। সেই সোনাজয়ী দুই সদস্য রবীন্দর পাল সিং ও এম কে কৌশিক গত শনিবার প্রয়াত হন কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই। তাঁদের পরিবারের জন্য এবার আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এল কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক।

কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানিয়েছেন, ভারতীয় হকির দুই কিংবদন্তিকে আমরা করোনার কারণে হারিয়েছি। এম কে কৌশিক ও রবীন্দর পাল সিং ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাঁদের সেই অবদানের কথা মাথায় রেখে প্রয়াত দুই হকি তারকার পরিবারদের পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে আমরা সব সময় রয়েছি।

We've lost two hockey greats to Covid. MK Kaushik ji & Ravinder Pal Singh ji's contribution to Indian sport will always be remembered. As a gesture of support, the Sports Ministry is handing over Rs 5 lakh each to the bereaved families. We stand with them in this hour of grief🙏 pic.twitter.com/gfRNmLjILf

— Kiren Rijiju (@KirenRijiju) May 13, 2021

৬৬ বছরের কৌশিকের সপ্তাহ দুয়েক ধরেই শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমছিল। তবে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভই আসে। ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভেন্টিলেটরেও রাখা হয়েছিল। যদিও সব চেষ্টা ব্যর্থ করে প্রয়াত হন এম কে কৌশিক। ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দলের কোচিং করিয়েছেন কৌশিক। ১৯৯৮ সালে ব্যাঙ্ককে তাঁর প্রশিক্ষণাধীন ভারতীয় পুরুষ হকি দল এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছিল। ২০০৬ সালে দোহা এশিয়াডে তাঁরই কোচিংয়ে ভারতের মহিলা হকি দল ব্রোঞ্জ জয় করে। ১৯৯৮ সালে অর্জুন পুরস্কার পাওয়ার পর ২০০২ সালে দ্রোণাচার্য পুরস্কারও পেয়েছিলেন কৌশিক।

ভারতীয় দলে কৌশিকেরই সতীর্থ এবং মস্কো অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য রবীন্দর পাল সিংয়ের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬১। ২৪ এপ্রিল করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পর থেকে তিনি লখনউয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর তাঁকে নন-কোভিড আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এরপরই তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। ভেন্টিলেশনে রেখেও শেষরক্ষা হয়নি। ১৯৮০-র মস্কো ও ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে অংশ নেন রবীন্দর পাল সিং। জুনিয়র বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি করাচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি।

Saddened to learn about the demise of V Chandrashekhar, an ace table tennis player of the 1980s, and an Arjuna Awardee, who went on to become a 3-time national champion. He later mentored a number of players who emerged as top paddlers. His contribution will never be forgotten🏓 pic.twitter.com/ZuQ4KyPOql

— Kiren Rijiju (@KirenRijiju) May 13, 2021

টেবিল টেনিসে তিনবারের প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন তথা অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত ভি চন্দ্রশেখরের প্রয়াণেও গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী। খেলোয়াড় হিসেবে অবসরের পর অনেক প্যাডলারের মেন্টরের ভূমিকা পালন করেছেন চন্দ্রশেখর।