ভোট মিটতেই ফোন গেল শ্রাবন্তী-নীহারের কাছে
জানা গিয়েছে, বেহালা পশ্চিমের পঞ্চম বারের বিধায়ক পার্থ বুধবার ফোন করেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরেই পার্থর ফোন যায় ওই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী নীহার ভক্তের কাছে। দু'জনের সঙ্গেই বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন তিনি। দু'জনকেই বেহালা তথা পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য তাঁর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে অনুরোধ করেন পার্থ। তাঁরা সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন, এমনটাই দাবি পার্থর। তবে এই ফোনালাপ ঘিরেই শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। যদিও পার্থবাবু জানিয়েছেন এর মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই। উল্লেখ্য, সিপিএম নেতা তথা ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর নীহারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় রয়েছে। মাঝে মধ্যেই প্রাক্তন কাউন্সিলরের মতামত নিয়ে কাজ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার শ্রাবন্তীকেও এলাকার কাজে পাশে চাইলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী।
মানুষের জন্যে এটাই তো কাজ করার সময়!
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভোট তো শেষ হতে গিয়েছে। এখন আর নিজেদের মধ্যে বিভেদ রেখে কি লাভ। শুধু তাই নয়, পার্থবাবু এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ওঁরা বিরোধী শিবিরের হলেও, ভোটের প্রচারে নেমে এলাকার কোনও না কোনও সমস্যা হয়তো চোখে পড়েছে। তাই আমি এক জন জনপ্রতিনিধি হিসেবেই ওঁদের মতামত জানতে চেয়েছি। দু'জনেই সহযোগিতা করবেন বলে কথা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছন, দীর্ঘদিন বেহালাতে কাজ করছি। বিরোধীদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করছি। সবাই মিলে কাজ করলে তো এলাকার উন্নয়ন সম্ভব, এমনটাই মনে করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
টানা পাঁচ বারের বিধায়ক
২০০১ সালে প্রথম বার তৃণমূলের প্রতীকী বেহালা পশ্চিম আসনে প্রার্থী হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিপুল ভোটে যেতেন। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। টানা পাঁচ বারের বিধায়ক হয়েছেন বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে। এ বারও প্রবল বিজেপি হাওয়াতেও পার্থবাবুকে পিছনে তাকাতে হয়নি। ৫০ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। এবার শ্রাবন্তীর হয়ে প্রচারে আসেন মিঠুন চক্রবর্তী। এমনকি অমিত শাহ এসে একের পর এক রোড শো করে গিয়েছেন। কিন্তু মানুষের আস্থা পার্থবাবুর উপরেও। এমনকি এলাকার অন্যতম প্রভাবশালী নীহা রঞ্জনও পার্থবাবুর জনপ্রিয়তার কাছে দাঁড়াতে পারেননি।