কুম্ভ থেকেই ফিরেই একযোগে ৩৩ জনকে করোনার কবলে ফেললেন বৃদ্ধা, আক্রান্ত ১৩ মনোরোগী

মহারাষ্ট্রের পরেই বর্তমানে দেশের বৃহত্তম কোভিড হটস্পষ্ট হিসাবে উঠে আসছে কর্ণাটকের নাম। এদিকে রাজ্যে মধ্যে সবথেকে বেশি বিপর্যয় নেমে এসেছে বেঙ্গালুরুতে। দিল্লির পরেই একক শহর হিসাবে বেঙ্গালুরুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ পার করতে চলেছে। এদিকে করোনা আবহে কুম্ভমেলা নিয়ে গোটা দেশব্যাপী উদ্বেগ ছড়ালেও এবার তাঁর আঁচ পৌঁছালো বেঙ্গালুরুতেও।

সূত্রের খবর, এপ্রিলের শুরুতেই শহরে এক ৬৭ বছরের বৃদ্ধার করোনা সংক্রমণের কথা সামনে আসে। তিনি কুম্ভমেলা থেকে ফেরার পরেই করোনার কবলে পড়েছিলেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে গোটা শহরেই ক্রমেই বেড়ে চলে কুম্ভ থেকে ফেরা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে ওই বৃদ্ধার থেকেই আরও ৩৩ জনের শরীরে করোনা ছড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যাদের মধ্যএ পশ্চিম বেঙ্গালুরুতে নন্দিনী লেআউটের নিকটে স্পন্দনা স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের ১৩ জন মনোরোগী রয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, কুম্ভ থেকে ফেরার পরেই প্রথমে ওই বৃদ্ধার থেকে সংক্রামিত হন পুত্রবধূ। তিনি পেশায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। কিন্তু আক্রান্ত হলেও তিনি প্রাথমিক ভাবে উপসর্গহীন ছিলেন বলেই জানা যায়। যার ফলে সংক্রমণের কথা শুরুতে টেরই পাননি তিনি। পরে তার শরীর থেকে আরও ১৩ জন রোগীর শরীরে করোনা ছড়ায় বলে জানা যায়। অন্যদিকে ওই মহিলার পরিবারের ১৮ জনও সম্প্রতি করোনার কবলে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার ৬ মাস বাদে রোগী পাবেন ভ্যাকসিন, জানিয়ে দিল সরকারি প্যানেল করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার ৬ মাস বাদে রোগী পাবেন ভ্যাকসিন, জানিয়ে দিল সরকারি প্যানেল

এদিকে কুম্ভে করোনা সংক্রমণ নিয়ে দেশজোড়া উদ্বেগের মাঝেও বৃদ্ধার কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অনেকেই বলছেন হরিদ্বার থেকে ফেরার পরেই যদি তিনি আইসোলেশনে থাকতেন তাহলে একসাথে এত মানুষের একযোগে সংক্রমণের প্রবণতা এড়ানো সম্ভব হতো। এদিকে গোটা কর্ণাটকজুড়েই লাফিয়ে লাফিয়ে বড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমনকী বর্তমাবে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও ৬ লক্ষের গণ্ডি পার করে ফেলেছে। যা এথনও পর্যন্ত গোটা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।