নয়া দিল্লিঃ কংগ্রেস প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী আজ, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একের পর এক ইস্যুতে আক্রমণ শানিয়ে গেলেন। তিনি বলেন, দেশজুড়ে করোনা মহামারী চলাকালীন ভ্যাকসিন, অক্সিজেন এবং ওষুধের পাশাপাশি নিখোঁজ রয়েছেন নরেন্দ্র মোদীও, শুধুমাত্র রয়েছে কেন্দ্রীয় ভিস্তা প্রকল্প এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবিগুলি।

দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) প্রধানমন্ত্রীকে নিয়মিত আক্রমণ করে চলেছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা যখন রেকর্ড হারে বেড়ে চলেছে, তখন এহেন পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। হাসপাতালে শয্যার অভাব, নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেনও। এদিন সেই ইস্যুকেই হাতিয়ার করে দেশের অক্সিজেন, ওষুধ এবং ভ্যাকসিনের অভাবের জন্য কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন তিনি।

রাহুল গান্ধী হিন্দিতে এক টুইট বার্তায় লিখেছেন “ভ্যাকসিন, অক্সিজেন এবং ওষুধের পাশাপাশি নিখোঁজ রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। এখন শুধু এখানে এবং সেখানে রয়েছে কেন্দ্রীয় ভিস্তা প্রকল্প, ওষুধের উপর জিএসটি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি” ।

অন্যদিকে কংগ্রেসের মুখ্য মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা গঙ্গায় ভাসমান মৃতদেহ নিয়ে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করেন। তিনি হিন্দিতে এক টুইট বার্তায় বলেছেন “এই নতুন ভারতে এমন সময় এসেছে যে নদীতে ভাসমান মৃতদেহগুলিও সরকারের কাছে দৃশ্যমান নয়। লজ্জা …”।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা দেশে করোনায় (Corona) আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৭২৭ জন। বুধবারের তুলনায় বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪২১ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। সংখ্যা সাড়ে ৩ লক্ষের নিচেই ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ১০০ জনের মতো কমেছে। যদিও তা রয়েছে ৪ হাজারের উপরেই। বুধবার যেখানে ৪ হাজার ২০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১২০ জনে। কমেছে দৈনিক সুস্থতার হারও। বুধবার ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৩৮ জন সুস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ১৮১ জন মানুষের সুস্থতার খবর এসেছে। এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৫ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ১০ হাজার ৫২৫ জন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.