নিউদিল্লি: করেনা (corona) ভাইরাস সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। ক্রমশ বাড়ছে অক্সিজেনের
চাহিদা, বাড়িতে আইসিলেশনে থাকা রুগী বা হসপিটালের রোগী অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে সবারই। কিন্তু
অক্সিজেন (oxygen) জোগাড় করতে কালঘাম ছুটছে। এই অবস্থায় অক্সিজেনের যোগানে ঘাটতি রুখতে বিদ্যুৎ
মন্ত্রক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অক্সিজেন প্ল্যান্ট গুলিতে যাতে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুতের যোগান থাকে সেটা নিশ্চিত
করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রক প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে দেশের ৭৩ টি অক্সিজেন প্ল্যান্টের ওপর
নজরদারি করছে ও খোঁজ খবর রাখছে। এর মধ্যে ১৩ টি ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের (NCR) অবস্থিত।
প্রত্যেকটি অক্সিজেন প্ল্যান্টের বিদ্যুতের যোগান সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য মূল্যায়ন করছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সচিব
পর্যায়ের অফিসার। এর পাশাপাশি রাজ্যগুলির বিদ্যুৎ সচিবকেও এই ব্যাপারে নজর রাখতে বলা হয়েছে । ২৪
ঘণ্টা প্ল্যান্ট গুলিতে বিদ্যুৎ যোগানের সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন রিভিউ মিটিংয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রায় ২১ হাজার
এই পদক্ষেপের স্ট্র্যাটেজি হিসেবে অক্সিজেন প্ল্যান্ট কন্ট্রোল রুম ও ইন্টারনাল কন্ট্রোল গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে
যারা ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুতের যোগান নিয়ে পরস্পরের সাথে সমন্বয় রেখে চলবে, এবং কোনো সমস্যা হলে দ্রুত
পদক্ষেপ নেবে। যদি বিদ্যুৎ যোগানে কোনো ঘাটতি হয় তবে পাওয়ার সিস্টেম অপারেশন কর্পোরেশন
অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পাওয়ার গ্রিডের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে।
পাওয়ার সিস্টেম অপারেশন কর্পোরেশন অক্সিজেন প্ল্যান্ট গুলিতে পাওয়ার সাপ্লাই নিয়ে টেকনিকাল অডিট
করবে, নির্দিষ্ট ভাবে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের ক্ষেত্রে এই নিয়ম বলবৎ হবে। পাওয়ার সাপ্লাই এর
ধরন, তার প্রকৃতি, তার উৎস যাবতীয় তথ্য অডিট রিপোর্টে থাকবে। অডিট রিপোর্ট বিদ্যুৎ যোগানে
উন্নতির জন্য স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের কথা উল্লেখিত থাকতে হবে। এখনো অবধি ন্যাশনাল
ক্যাপিটাল রিজিয়নের ১৩টি প্ল্যান্টের অডিট সম্পন্ন হয়েছে। এই অডিট রিপোর্টার ওপর নির্ভর করে কেন্দ্রীয়
বিদ্যুৎ মন্ত্রক হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কেরালা, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড এর সরকারকে চিঠি লিখে
আরও বিদ্যুৎ উৎপাদনে কি করণীয় সেটা জানিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.