তিন মাস বাড়ানো হোক আলাপনের মেয়াদ! প্রধানমন্ত্রীর মোদীর কাছে চিঠি দিয়ে আবেদন মমতার

২০০ এরও বেশি আসন পেয়ে বাংলার মসনদে বসেছেন ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় বসেই একগুচ্ছ পরিবর্তন করেছেন তিনি। পুলিশ প্রশাসনে হয়েছ একাধিক রদবদল। সচিব পর্যায়েও রদবদল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসাবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই আস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রায় তিন মাস নির্বাচন কমিশনের হাত ছিল রাজ্যের ক্ষমতা। তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যসচিব পদ থেকে সরে যান তা চান না মমতা।

মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েই এই চিঠি

রাজ্যের মুখ্যসচিবের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন আগেই মুখ্যসচিব হিসাবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চান মমতা। এমনটাই খবর সামনে এসেছিল। এমনকি এই বিষয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। সেই মতো তিনমাস মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার তিনি চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে অভিজ্ঞ আমলার প্রয়োজন। সেই কারণে যাতে মুখ্যসচিবের মেয়াদ ৩ মাস বাড়ানো হয়। নবান্ন সূত্রে খবর, চিঠিতে এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন মমতা।

আলাপনেই আস্থা মমতার

সবে নতুন একটা সরকার তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দীর্ঘদিনের আমলা অবসর নিয়ে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় একাধিক নতুন মুখ। সেখানে দাঁড়িয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় চলে গেলে সমস্ত দফতরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা সমস্যা হতে পারে পারে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু অরে দিয়েছে নয়া সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম ভরসার লোক আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আমলার মুখ্যসচিব পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা এমাসের শেষেই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার তাঁর কার্যকালের মেয়াদ আরও খানিকটা বাড়াতে চায় বলেই সূত্রের খবর।

মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিব হিসাবে কাজ সামলেছেন তিনি

স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ,মুখ্যসচিব দুই পদেই সামলেছেন তিনি। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি মুখ্যসচিবের পদে বসেন। পশ্চিমবঙ্গ ১৯৮৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার। দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত। হাওড়াতে জেলা শাসক হিসাবে কাজ শুরু। এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কমিশনার হিসাবেও কাজ করেছেন আলাপন। রাজ্যের পরিবহণ, এমএসএমই সহ একাধিক দফতরে সচিব হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয়, সাময়িকভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবেও কাজ করেছেন আলাপনবাবু। আর তাই করোনার এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।