স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: করোনা সংক্রমণের জেরে মাধ্যমিক পরীক্ষার মতোই অনিশ্চয়তা তৈরি হল উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে। যদি মাধ্যমিক পরীক্ষা পিছিয়ে যায়, তাহলে উচ্চ মাধ্যমিকও পিছিয়ে দেওয়া হবে। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস।
বুধবার মহুয়া দাস বলেন, “পরীক্ষার্থীদের জীবনের থেকে মূল্যবান কিছু নয়। পরীক্ষা পরেও হতে পারে। অপেক্ষা করছি সরকারি সিদ্ধান্তের জন্য।” তিনি জানান, যখনই পরীক্ষা হোক, তা হবে নিজের স্কুলেই। প্রসঙ্গত, এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার কথা আগামী ১ জুন থেকে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা আগামী ১৫ জুন। অর্থাৎ মাধ্যমিকের জন্য আর মাত্র ২০ দিন আর উচ্চমাধ্যমিকের জন্য আর মাত্র মাস খানেক সময় আছে। এই পরিস্থিতিতে যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়া আর সম্ভব নয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিল, না স্থগিত করা হবে? সেটা জানার অপেক্ষায় পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: আজ থেকেই দ্বিতীয় ডোজ, কোথায় কোথায় মিলবে দেখে নিন
বর্তমানে ট্রেন চলাচল বন্ধ। করোনা পরিস্থিতিতে বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে যাতায়াতের সমস্যাও থাকছে। এছাড়াও জেলায় জেলায় উত্তরপত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে লোকাল ট্রেনই বড় ভরসা পর্ষদের৷ এমন পরিস্থিতিতে ১ জুন থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার আয়োজন সম্ভব নয় বলেই মনে করছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার পর্ষদের কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যেরকম আছে, সেরকম যদি চলতে থাকে, তাহলে নির্ধারিত সূচি মেনে মাধ্য়মিক নেওযা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে আদৌও মাধ্যমিক হবে নাকি সিবিএসই এবং আইসিএসই দশম শ্রেণির মতো পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
আপাতত মাধ্যমিকের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন যে মাধ্যমিক স্থগিত করা হবে নাকি বাতিল হয়ে যাবে। সূত্রের খবর, সোমবারই পর্ষদের সভাপতির সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা তিনেক বৈঠক করেন স্কুলশিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। করোনা পরিস্থিতিতে মাধ্যমিকের জন্য কতটা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তিনি। যদি শেষপর্যন্ত পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়, তাহলে কীভাবে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হবে, সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.