হাড়হিম করা কিছু পরিসংখ্যান
পরিসংখ্যান বলছে, ৫ মে যেখানে ব্রাজিলে করোনার জেরে ৭৩,২৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন দৈনিক অঙ্কের হিসাবে, সেখানে ওই একই দিনে ভারতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪,১২,৪৩১ ছিল। পরিসংখ্যান বলছে ভারতের করোনার প্রথম স্রোতে ১০ মাস সময় লেগেছিল আক্রান্তের সংখ্যা ১০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে, সেখানে করোনার দ্বিতীয় স্রোত ১০ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যাকে ১১ মিলিয়নে নিয়ে গিয়েছে। যে ঘটনা ১০ মাসে ভারত দেখেছে তা ১০ সপ্তাহে ২০২১ এর ভারত দেখতে পেয়েছে নয়া স্রোতের জেরে। আর হু হু করে বাড়তে থাকা এই সংক্রমণই দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে ধাক্কা দিয়েছে। বাড়তে শুরু করেছে বেড থেকে অক্সিজেনের চাহিদা।
ভারতে প্রতিদিন ৬ থেকে৮ শতাংশ অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ছে
প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞরা বলছেন দেশে প্রতিদিন ভারতে ৬ থেকে ৮ শতাংশ বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যেখানে অক্সিজেনের চাহিদা ছিল, ৪ মিলিয়ন, সেখানে ২০২১ সালে ৫ মে চাহিদা হয়েছে ১৭ মিলিয়ন। ফলে আপাতত অক্সিজেন যোগান দেওয়ার জন্য ভিন রাষ্ট্র থেকে আমদানি ছাড়া কোনও উপায় নেই বলে মন অনেকের।
সরকারি আশ্বাস ও অক্সিজেন পরিস্থিতি
২০২০ সালের অগাস্ট মাস থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বলছে অক্সিজেনের উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। তবে তা যে বর্তমান পরিস্থিতিতে উপযুক্ত হয়ে ওঠেনি তা নিয়ে সরব বহু মহল। আপাতত রাজ্যভিত্তিক অ্যাক্টিভ কেস ধরে অক্সিজেনের সরবরাহ করছে সরকার। আর সেই ফর্মুলাতে আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে।
কবে নাগাদ অক্সিজেন সংকট মিটবে?
ভারতের হেল্থ কেয়ার সংস্থা ' পাথ'এর তরফে মহম্মদ আমিল বলছেন, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভারতে মেডিক্যাল অক্সিজেনের সংকট কেটে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আউটপুট ২৫ শতাংশ হিসাবে ধরেই এই আশা করা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে দেশে অক্সিজেন পরিবহনের ক্ষেত্রে পরিকাঠামো আরও সুঠাম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণই এই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।