মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে চেষ্টা শুরু
মার্চের প্রথম সপ্তাহে পুনেতে করোনার পজেটিভিটি রেট ছিল ৬৯.৭ শতাংশ। সেই সময় থেকেই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করা হয়। রাত ১১ থেকে সকাল ছটা পর্যন্ত কার্ফু জারি করা হয়। যা পজেটিভিটি রেটকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়। যা প্রথমে ৪১.৮ শতাংশে নামে। বর্তমানে তা ২৩.৪ শতাংশে নেমেছে।
কেন্দ্রের প্রশংসা
স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল বলেছেন, জমায়েতের ওপরে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, এমন কাজের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল ১৫ দিনের জন্য। যার জেরে সংক্রমণ কমানো গিয়েছে।
দেশের ৯০ শতাংশ এলাকাতে বেড়েই চলেছে করোনার প্রকোপ, চিন্তা বাড়াচ্ছে গ্রামীণ ভারত
শুরুতে বিরোধিতা ছিল বিজেপির
একদিকে মুম্বইয়ের ক্ষমতা শিবসেনার হাতে আর পুনের ক্ষমতা বিজেপির হাতে। পুনের জেলা কর্তৃপক্ষের তরফে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, তার প্রতিবাদ করেছিল পুনের বিজেপি নেতৃত্ব। পুনের বিজেপি সাংসদ গিরিশ বাপট এবং শহরে বিজেপি প্রধান জগদীশ মুলিক এর বিরুদ্ধে ধরনাও দিয়েছিলেন। পরে বিজেপি বিধায়ক মাধুরি মিশাল এবং স্থানীয় বিজেপি ইউনিটও প্রতিবাদের পথে নেমেছিলেন।
বোম্বাই হাইকোর্ট পুনেতে লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছিল
গত সপ্তাহের শুনানির সময় বোম্বাই হাইকোর্ট পুনেতে লকডাউন কঠোর ভাবে করার নির্দেশ দেয়। সেই সময় পুনের পুরসভায় ক্ষমতায় থাকা বিজেপি প্রশাসনের কাছে দাবি করে শহরের করোনা পরিস্থিতি আদালতের সামনে রাখার জন্য। কেননা তাদের অভিযোগ ছিল, সরকারের দেওয়া তথ্য ভুল। তাদের দাবি ছিল, শহরে কড়া লকডাউনের কোনও প্রয়োজন নেই।
রাজ্যসভার সাংসদ বন্দনা চবন বলেছিলেন, শহরে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আগে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত নিতে হবে। তিনি বলেছিলেন , মেয়র বলেছেন কড়া লকডাউনের প্রয়োজন নেই। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই তা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।