সাগরে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে কয়েকদিন ধরে

মে মাসেই ঘূর্ণিঝড় (cyclone)। তবে সেই ঘূর্ণিঝড় এবার আঘাত হানতে চলেছে দেশের পশ্চিম উপকূলে। আবহাওয়া দফতরের (weather office) পূর্বাভাস অনুযায়ী ১৪ মে নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে (arabian sea) একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর থেকে যা ক্রমে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। যা ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠেব ১৬ মে নাগাদ।

উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় টাউকটে, ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় টাউকটে, ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি

২০২১-এর প্রথম ঘূর্ণিঝড়

এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তা এইবছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় হবে। আর মিনানমারের দেওয়া নাম অনুসারে হবে টাউকটে। এমনও হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর গুজরাত ও কচ্ছের ওপর দিকে পাকিস্তানে চলে যেতে পারে ২০ মে নাগাদ। তবে তার অভিমূখ সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে এখনই আবহাওয়াবিদরা নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না।

ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৪ ও ১৫ মে নাগাদ কেরল ও লাক্ষাদ্বীপে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আর ১৫ নাগাদ কর্নাটক ও তামিলনাড়ুতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। যার জেরে মৎস্যজীবীদের বলা হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর, মালদ্বীপ, লাক্ষাদ্বীপ এবং কেরল উপকূলে ১৩ মে থেকে এবং পূর্ব মধ্য আরব সাগর এবং কর্নাটক উপকূলে ১৪ মে থেকে এবং মহারাষ্ট্র এবং গোয়া উপকূলে ১৫ মে থেকে সমুদ্রে না যেতে। আর যাঁরা ইতিমধ্যেই গভীর সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁরা দেন ১২ মে-র রাতের মধ্যে ফেরত আসেন।

পশ্চিম হিমালয়েও পড়তে পারে প্রভাব

ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার ৩-৪ দিনের মধ্যে প্রবল হাওয়া বইবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের দিকে। এর প্রভাবে উত্তর পশ্চিম ভারতেও সমতল এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে আগামী তিন থেকে চার দিন। পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া কিংবা শিলাবৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে।

পশ্চিমবঙ্গ-উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে উত্তর-দক্ষিণ অক্ষরেখার কারণে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি, পশ্চিমবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন পাঁচটি জেলা এবং সিকিমে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী পাঁচ দিন পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জায়গায়ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে দেশের কোথাও তাপপ্রবাহের কোনও সম্ভাবনা নেই।