কলকাতা: আগের বারের চেয়ে এ বার বেশি সংক্রামক করোনা ভাইরাস। আগের বারের চেয়ে এ বার শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, আক্রান্তদের বয়স ৫-এর নীচে, একমাসের শিশুও আক্রান্ত হচ্ছে রোগে। কীভাবে ছোট বাচ্চাকে নিরাপদে রাখবেন, সে বিষয়ে পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ সুমন পোদ্দার৷
আপনার শিশু করোনা আক্রান্ত হয়েছে কি না কীভাবে বুঝবেন?
চিকিৎসকের কথায়, “লক্ষণগুলির মধ্যে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ফুসকুড়ি, পেট এবং তলপেটে সমস্যা, দুর্বলতা, জ্বর, শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা বৃদ্ধি ও শুকনো কাশি প্রাথমিক লক্ষণ। তাই বাচ্চাদের মধ্যে এমন উপসর্গ দেখলে অবিলম্বে সতর্কতা নেওয়া উচিত।” চিকিৎসকেরা বলছেন, গত বারও বাচ্চাদের মধ্যে করোনা দেখা গিয়েছিল, কিন্তু তার সিভিয়রিটি এত বেশি ছিল না। এ বার শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ছে বেশি। সর্দি-কাশির তুলনায় ডায়েরিয়া নিয়ে ভর্তি হচ্ছে অধিকাংশ শিশু।
একেবারে ছোট বাচ্চাদের মধ্যেও করোনার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যাদের বয়স এক বছরের চেয়ে কম তাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলি দেখা যায় – যেমন, ত্বকে বিভিন্ন বিভিন্ন প্যাচ, জ্বর, ক্ষিদে কমে যাওয়া, শরীরে জ্বালাভাব, বমি করা, ঠোঁট এবং ত্বক ফুলে যাওয়া, ফোসকা৷
আরও পড়ুন: এই দুটি কারনে তরুণরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়, জানালেন ICMR প্রধান
কী করবেন?
মা-বাবা মারফতই ছোটদের সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই মা-বাবাকে মাস্ক পরে থাকতে হবে।
প্রাথমিক লক্ষণ থাকলে বাচ্চাকে বাকিদের থেকে আলাদা রাখতে হবে। সন্তান বড় হলে তাকে আলাদা ঘরে থাকার ব্যবস্থা করাই ভাল। সন্তান যদি বয়সে ছোট হয়, তাকে তার মতো করে বিষয়টা বোঝাতে হবে।
সন্তান ব্রেস্টফিড করলে মাকে এবং কেয়ারগিভারকে মাস্ক পরতে হবে।
বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা আপাতত বন্ধ থাক। বরং ঘরে বসেই যেসব খেলা যায় সেগুলো করতে উৎসাহ দিন।
চোখ, নাক, মুখ রগরানো থেকে আটকান।
কিছুসময় বাদে বাদে হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজ করাও অভ্যাস করান।
কাশি কিংবা হাঁচির সময় নাক-মুখ ঢাকতে বলবেন।
ঘরে হাইজিন মেনে চলা জরুরি
ঘর সবসময় জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন
দরজার বেল, টেবিল, চেয়ার সবসময় স্যানিটাইজ করুন।
জুতো ঘরের বাইরেই রাখুন।
ঢাকনা দেওয়া ডাস্টবিন ব্যবহার করুন।
করোনা আক্রান্ত হলেও কী ধরনের সুষম খাদ্য দিলে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা বজায় থাকবে ?
সংক্রমণের সময় এমনিতেই মুখের স্বাদ চলে যায়। নতুন কোনও খাবার না দেওয়াই ভালো, রোজ যা খায় তার সঙ্গে মাছ মাংস সবজি দেওয়া যেতে পারে। কমলালেবু বা মুসাম্বি লেবুর রস দেওয়া যেতে পারে। তবে সেই সময় আলাদা করে ভিটামিন দেওয়ার দরকার নেই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.