ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারের তালিকা প্রকাশ
অনেকেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে কোভিড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ় নিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ নিতে কার্যত হিমশিম অবস্থা। কোথায় মিলবে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাক্সিন? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই অবস্থায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারের তালিকা প্রকাশ করল নবান্ন। দ্বিতীয় ডোজ কোথা থেকে পাওয়া যাবে সমস্ত তথ্য সেখানে তুলে ধরা হয়েছে।
কীভাবে তথ্য জানা যাবে।
সরকারের এগিয়ে বাংলা ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়াও স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে বিস্তারিত তথ্য। জানা যাচ্ছে, সরকারি কেন্দ্র থেকে নিঃখরচায় টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়া যাবে। তবে আপাতত এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে কলকাতা, বিধাননগর, নিউটাউনে। নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সরকারি হাসপাতালে মিলবে টিকা। তবে জানানো হয়েছে, কোভশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন একই জায়গায় মিলবে না। দুটি টিকা নিতে দুটি আলাদা নির্ধারিত কেন্দ্রে যেতে হবে। অন্যদিকে জেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং সরকারি হাসপাতালেও মিলবে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ। তবে এখনই বেসরকারি হাসপাতালে করোনার টিকা মিলবে না।
সঙ্গে রাখতে হবে এই সমস্ত জরুরি নথি
দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার সময়ে গ্রাহককে নিয়ে যেতে হবে যে কোনও একটি পরিচয়পত্র এবং প্রথম ডোজ়ের নথি। যাঁরা বেসরকারি হাসপাতালে প্রথম ডোজ় নিয়েছিলেন তাঁদের একটি কাগজ দেওয়া হয়েছিল। সরকারি হাসপাতালে কিংবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজ নিতে যাওয়ার সময় অবশ্যই এই জরুরি তথ্যগুলি হাতে রাখতে হবে। অনেকেই প্রথম করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ় পাচ্ছেন না। এখানে ওখানে ঘুরেও মিলছে না ভ্যাকসি। এই অবস্থায় দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার।
সোনার দামে হু হু করে ফের পতন শুরু, ১২ মে কলকাতা সহ বাকি শহরের দর একনজরে
দ্বিতীয় ডোজে অগ্রাধিকার দিতে বলা হচ্ছে
অগ্রাধিকার দিন করোনার দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকদের। বরাদ্দ হওয়া টিকার ৭০ শতাংশ ব্যবহার করুন কোভিডের দ্বিতীয় টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে। বাকিগুলি থেকে নতুন টিকাকরণ চালান। রাজ্যগুলিকে এই বার্তাই দিয়েছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ ও ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপের সদস্য চিকিৎসক আরএস শর্মা বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের কথা বলেন। সেখানেই তারা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উদ্দেশে বার্তা দেন, যারা ইতিমধ্যে প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন তাদেরকে পরের ডোজ দেওয়ার দিকে অগ্রাধিকার দিন। দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকদের জন্য ৭০ শতাংশ ভ্যাকসিনের ডোজ আলাদা করে রাখার বার্তাও দেওয়া হয়। যদি কোনও রাজ্য চায় তাহলে তারা দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে বরাদ্দ সব ভ্যাকসিনই সরিয়ে রাখতে পারে বলেও জানান তারা। এরপরেই দ্বিতীয় ডোজ দ্রুত দেওয়ার ব্যাপারে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।