ওয়েলিংটন: আসন্ন ইংল্যান্ড সফরের পরই সবধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান বিজে ওয়াটলিং(BJ Watling)। ৩৫ বছর বয়সি ব্যাটসম্যানকে আর মাত্র তিনটি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলতে দেখা যাবে। জো রুট নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডসে (২জুন-৬জুন) এবং এজবাস্টনে (১০-১৪জুন) দু’টি টেস্ট ম্যাচ। এরপর বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতের বিরুদ্ধে সাউদাম্পটনে (১৮জুন-২২জুন) ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দেশের জার্সি গায়ে শেষ বারের মতো মাঠে নামবেন তিনি।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (NZC) তরফে প্রকাশ করা এক প্রেস বিবৃতিতে ওয়াটলিং বলেন, ‘এটাই সঠিক সময়। নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা অনেক সম্মানের বিষয়, বিশেষত টেস্ট ব্যাগি পরতে পারাটা। টেস্ট ক্রিকেট সত্যিই ক্রিকেটের সবচেয়ে উঁচু পর্যায়। আমি সাদা জার্সি পরে সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে নেমে খেলাটা প্রতি মুহূর্তে উপভোগ করেছি’। তাঁর সংযোজন, ‘পাঁচ দিন মাঠে পরিশ্রমের পর চেঞ্জিং রুমে বসে ছেলেদের সঙ্গে বিয়ার খাওয়াটাকে আমি সবচেয়ে বেশি মিস করব। আমি বেশ কিছু সেরা ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলেছি এবং বেশ কিছু ভালো বন্ধু বানিয়েছি। এছাড়াও আমি অনেকর সাহায্যও পেয়েছি, সেজন্য আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব’।
টেস্ট ক্রিকেটে ওয়াটলিং-এর অভিষেক হয়েছিল ২০০৯ সালে। ১২ বছরের কেরিয়ারে এখনও অবধি তিনি ৭৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন, এবং ৩৮.১১-এর গড়ে ৩৭৭৩ রান করেছেন। সেঞ্চুরি করেছেন ৮টি ও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ১৯টি। আশা করা হচ্ছে, আগামী তিনটি ম্যাচে তিনি ৪০০০ রানের গন্ডি পেরিয়ে যাবেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর হল ২০৫। ২০১৯ সালে বে ওভালে (Bae Oval) ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই রান করেছিলেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০,০০০-এর বেশি রানের সংগ্রাহক ওয়াটলিং দেশের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে সেইভাবে নজর কাড়তে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৮টি একদিনের ম্যাচ ও মাত্র ৫টি টি-২০ ম্যাচ তিনি খেলেছেন।
যে কোনও ক্রীড়াবিদের মতো ওয়াটলিং-এর জীবনেও তাঁর পরিবারের ভূমিকা অসীম। তিনি এই বিষয়ে বলেন, ‘আমার স্ত্রী জেস বরাবর আমার জীবনে সমর্থন ও স্থায়িত্বের উৎস হয়ে থেকেছে। আমি তাঁর ও আমাদের সন্তানদের সাথে সময় কাটানোর জন্য অপেক্ষা করছি। আমি আমার মা’কেও ধন্যবাদ জানাতে চাই আমায় সঠিক পথে চালনা করার জন্য।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.